বধবারচাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তেগুরিয় গ্রামে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নাম বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বুধবার সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনের করা রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দায় এ রায় প্রদান করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী সাবেক অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান জানান, “২০০২ সালে তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন তাঁর পিতার নামে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে এককালীন যে অর্থ রাখা হয় প্রতিমন্ত্রী জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন না নিয়ে বিভিন্ন সময় ভূয়া ভাউচার দাখিল করে সে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৯ সালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তৎকালীন কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্যাহ চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি আর্থিক অনিয়মের বিষয়সহ বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্ছুতি উপস্থাপন করে উক্ত বিদ্যালয়টির নাম ‘তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়’র পরিবর্তে ‘তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ করার সুপারিশ উপস্থাপন করেন। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে ‘তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ নামকরণ করেন। পরে ওই সালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ. ন. ম এহসানুল হক মিলন তাঁর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নাম পুনর্বহাল রাখতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন (যার নং ৫৯৪২)। বিজ্ঞ আদালত ওই বছরের ২৬ জুলাই তিন মাসের জন্য বিদ্যালয়টির পূর্ববর্তী নাম বহাল রেখে স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে মূল মামলাটি হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে শুনানি শেষ করার আগ পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর আবেদনটি আমলে নিয়ে স্থগিতাদেশ অব্যাহত রাখেন। পরে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই ফুল বেঞ্চে শুনানী শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নাম বহাল রাখার রায় ঘোষণা করেন।”
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান শিশির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সত্যের জয় সুনিশ্চিত হয়েছে।”
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫