কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ পান লক্ষ্মীপুরের মেসার্স এস আর কন্সট্রাকশন। সম্প্রতি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেখানে কলাম নির্মাণে নানা রকম অনিয়ম করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরজমিনে দেখা যায়, ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কংক্রিট মিক্সারে ১ বস্তা সিমেন্টের সাথে ২টুকরি সিলেকশন, ১ টুকরি সাদা বালু ও ৫ টুকরি খোয়া ব্যবহার করে ছাদ ঢালাই করা হচ্ছে। কিন্তু দরপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ১ বস্তা সিমেন্টের সাথে ১.৫ টুকরি সিলেকশন ও ৩ টি খোয়া ব্যবহার করতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, লতিফিয়া মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ে সাদা বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। যা সিডিউলে উল্লেখ নেই। প্রতি বস্তা সিমেন্টের সাথে ২-৩ টুকরি সিলেকশন, ১টুকরি সাদা বালু ও ৫ টুকরি খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া নিম্নমানের সিমেন্ট ও খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে মাদ্রাসার সুপার মোশারফ হোসেনের যোগসাজসে এসব অনিয়ম দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা দরপত্র অনুযায়ী কাজ করার আহবান জানাচ্ছি। এভাবে কাজ করলে ভবনটি বেশিদিন টিকবে নাহ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকালে যখন কাজ শুরু হয় তখন কাজে একটু অনিয়ম হয়েছে। পরর্বতীতে স্থানীয়তা এসে বাধা দিলে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছে ঠিকাদার।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনিক কুমার ঘোষ বলেন, নির্মাণ কাজে সাদা বালু ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে স্থানীয়দের মাঝে এই নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দরপত্র অনুযায়ী নির্মাণ কাজ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
কচুয়া প্রতিনিধি, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur