চাঁদপুরের কচুয়ায় আলোচিত অটোচালক সাব্বির হত্যার রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার ও লুন্ঠিত অটোরিক্সার বিভিন্ন পার্টস ও আলামত উদ্ধারে সফলতা অর্জন করায় ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার পুলিশের চৌকস উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন রাজীবকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট (পুরষ্কার) দেয়া হয়েছে। বুধবার চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার অন্যান্য উপজেলার পুলিশী কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) তাঁর হাতে সম্মাননা পুরষ্কার তুলে দেন।
কচুয়া থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই দেলোয়ার রাজীবের নেতৃত্বে ও অন্যান্য পুলিশদের সহযোগিতায় আলোচিত সাব্বির হত্যার আসামী হিসেবে এ পর্যন্ত ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন রাজীব ২০২২ সালে কচুয়া থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আসামী গ্রেফতার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিনে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। দেলোয়ার হোসেন রাজীব বরগুনা জেলা সদরের করইতলা এলাকার বাসিন্দা। তার গর্বিত বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. মোখলেছুর রহমান ও মাতা হোসনে আরা বেগম।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ভূঁইয়ারা গ্রামের মিশুকচালক সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে তার হাত-পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে কচুয়ার আলোচিত সাব্বির হত্যার মামলার ১০ আসামীকে গ্রেফতার করে তাক লাগানোর ঘটনায় ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার রাজীব জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কার পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২০ মার্চ ২০২৪