কচুয়া উপজেলার সাজিরপাড় গ্রামের খান বাড়িতে প্রবাস ফেরত রবিউল আলম খান সোনালী জাতের মুরগি পালন করে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন।
দীর্ঘদিন সৌদিআরব ও দুবাই প্রবাস জীবন শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে কচুয়া-সাচার সড়কের পাশে সাজিরপাড় গ্রামে প্রায় ৬৫ শতাংশ ভূমির পাশে সুমাইয়া ডেইরী ফার্ম নামে সোনালী জাতের মুরগীর বাসস্থান ও মুরগীর খামার তৈরি করে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। এখন তার থেকে মুরগী সংগ্রহ করে এলাকার অনেক যুবক স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রবাস ফেরত রবিউল আলম ১৯৯৮ সালে সৌদি আরর ও ২০১৯ সালে দুবাই যান। সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেন। অবশেষে প্রায় ৬ মাস পূর্বে দেশে ফিরে এসে নিজ বৃৃদ্ধিমত্তা খাটিয়ে এ খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ২ হাজার সোনালী জাতের বাড়ন্ত বয়সী মুরগী রয়েছে। খামার তৈরি ও ১ দিনের বাচ্চা উত্তোলন শেষে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ব্যয় হয়েছে। কিছুদিন পর এলাকার বিভিন্ন স্থানীয় বাজার ও খামারীদের কাছে মুরগী বিক্রি করবেন।
খামারী রবিউল আলম বলেন, ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য দুবাই ও সৌদিআরব পাড়ি জমাই। সেখানে দীর্ঘ ২৫ বছর অবস্থান শেষে দেশে ফিরে আসি। বর্তমানে বিদেশ না গিয়ে নিজ দেশে ব্যবসার মাধ্যমে নতুন ভাবে কর্মসংস্থান তৈরি ও অন্যদের কর্মসংস্থাদের সুযোগ দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রশিক্ষন ছাড়াই এ খামার পরিচালনা করে আসছি। তবে ভবিষ্যতে প্রশিক্ষন নিয়ে ব্যাপক আকারে মুরগীর খামার তৈরি করতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
কচুয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাওকাত হোসেন সুমন বলেন, প্রবাস ফেরত রবিউল আলম সোনালী জাতের মুরগীর ব্যতিক্রমী খামার করেছেন। এই ধরনের খামার আমাদের এলাকায় খুব বেশি নেই। আমরা রবিউল আলমকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করব। আর কেউ এ ধরনের খামার তৈরি করে বেকারত্ব দূর করতে চাইলে আমরা তাদের ভালো উদ্যোগের পাশে থাকব।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৬ মে ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur