Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় বিধবা নারীর জায়গায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ
বিধবা

কচুয়ায় বিধবা নারীর জায়গায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ

কচুয়া উপজেলার আটোমোড় গ্রামের শিকারী বাড়িতে এক অসহায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীর জায়গায় জোরপূর্বক টিনের ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। একই বাড়ির সামছুল হকের পুত্র হযরত আলী ও আব্দুল হাকিম গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় বিধবা ওই নারী শামছুন্নাহার বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং- ২৬৯/২০২৪ইং। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ওই স্থানে ১৪৫ ধারা বিধান অনুযায়ী অস্থায়ী স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। গত মঙ্গলবার কচুয়া উপজেলার সাচার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এএসআই মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীকে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রদান করেন এবং কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শনা প্রদান করলেও আইন অমান্য করে কতিপয় ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে অনেকটা জোড়পূর্বক ভাড়াটিয়া মিস্ত্রি এনে তরিগরি ঘর নির্মাণ করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ আটোমোড় গ্রামের মৃত. মোবারক হোসেনের স্ত্রী শামছুন্নাহার জানান, আমার স্বামী প্রায় ১০ বছর আগে মারা যাওয়ার পর আমার ছেলে না থাকায় মেয়েদের নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। স্বামীর মৃত্যুজনিত কারনে আমার কেউ না থাকায় প্রভাব খাটিয়ে একই বাড়ির হযরত আলী গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আমার রোপনকৃত আম,বড়ই ও বেল গাছসহ বেশকিছু মূল্যবান গাছগাছালি কেটে আমার দখলীয় জায়গায় জোরপূর্বক বসতঘর নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে বাধা দিলে আমাকে ও আমার মেয়েদের নানান ভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমার জায়গা উদ্ধারসহ হযরত আলীর বিভিন্ন হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বিজ্ঞ আদালত ও থানায় অভিযোগ করার পরেও হযরত আলী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আমার যায়গায় থাকা গাছ-গাছালী কেটে অন্যায়ভাবে জবরদখল করে ঘর নির্মাণ করেন। এ যেন দেখার কেউ নেই। অনেকটা নিরুপায় হিসেবে সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়াজী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া জানান, এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেন-দরবার হলেও হযরত আলী বিষয়টি না মানায় তার সমাধান হয়নি। হযরত আলী প্রশাসন ও এলাকার কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছা মতো ঘর নির্মাণ করেন। অভিযুক্ত হযরত আলী বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিস্ত্রি নিয়েছি তাই ঘর নির্মাণ করেছি। আদালতের রায়ে যা হবে আমি তা মেনে নিবো।

কচুয়া প্রতিনিধি, ৯ মার্চ ২০২৪