Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় ফসলি জমি দখল চেষ্টায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ
ফসলি

কচুয়ায় ফসলি জমি দখল চেষ্টায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শুয়ারুল গ্রামে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিাবরের ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই গ্রামের মুসলিম মিয়া ও কামাল গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। এতে জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার রমলা রানী দাস বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ বিচারক আমলী আদালতে ১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, শুয়ারুল গ্রামে ৫নং মৌজার ৭২১ খতিয়ান,হালদাগ ৫৩২ ও ৫৩৩ দাগে মোট ৬৫ শতাংশ জমি শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করে আসছে রমলা রানী দাস গং। একই গ্রামের মৃত রিয়া সিএস মূলে বিক্রি করেন উমা কান্ত দাসের কাছে। পরবর্তীতে উমাকান্তের আরএস মূলে পৈর্তৃক সম্পত্তি হিসেবে রমলা রানী মালিক হয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু একই এলাকার প্রতিপক্ষ মুসলিম গংরা তাদের জমি পাবে বলে ৬৫ শতাংশ জমির অন্দরে ১৬ শতাংম জমি দাবি করেন। কিন্তু রমলা রানী দাসের ১৯৩৫ সালে জমির দলিল রয়েছে। বর্তমানে ওই জমিতে সন মেয়াদী হিসেবে স্থানীয় কৃষক দুলাল প্রায় কয়েক বছর ধরে ফসলি জমি চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলিম গংরা নিজের জমি দাবি করে ১৬ শতাংশ জমিতে চারদিকে পিলার স্থাপন করে দখল করে রাখে। এতে জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার বাধা দিতে গেলে তাদেরকে হুমকি-ধমকি ও মারধরের প্রদর্শন করেন।

স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আমরা পূর্বে থেকে দেখে এসেছি, রমলা রানী দাস গংরা শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করে আসছে। কয়েক দিন ধরে এলাকার কিছু লোক ওই জমিতে পিলার দিয়ে সীমানা দিয়েছে। তকে কি কারনে দিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।

জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার রমলা রানী দাস বলেন, পৈর্তৃক সূত্রে আমি এই জমির মালিক হয়েছে, যার দলিল রয়েছে। মুসলিম গংরা ভুয়া দলিল করে নিজেদের জমি দাবি করছে। আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে শুয়ারুল মৌজায় সিএস ৫৮নং এসএ ৬৩ নং ও বিএস ৭২১ সাবেক ২৪৭ নালে ৫৩২,৫৩৩ দাগে ৬৫ শতাংশ জমি শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। নিজেদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে একই এলাকার প্রতিপক্ষ কামাল হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে চাননি।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২৮ মার্চ ২০২৩