কচুয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার দাফন সম্পন্ন

কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও আহবায়ক, ত্যাগী ও অভিমানী আওয়ামীলীগ তৃণমূল নেতা মো: আনোয়ার হোসেন মজুমদার আর বেঁচে নেই (ইন্নালি….রাজিউন)। তিনি রবিবার ভোরে ঢাকার কাকরাইল ইসলামীয়া হাসপাতালে ডায়েবেটিস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। রবিবার বাদ যোহর বাইছারা উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাযা শেষে মরহুমের লাশ বাইছারা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

মহুমের জানাযা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহান শিশির, বিতারা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. ইসহাক সিকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ দর্জি, বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোহাগ খান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা. জসিম উদ্দিন প্রধান, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইসমাইল ভূঁইয়া, বাইছারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডা. আলী আজগর সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক সোহাগ সরকারসহ অনেক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত তৎকালীন জামাত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে যে কয়জন নেতাকর্মী হামলা-মামলা ও হয়রানীর শিকার হয়েছিলেন তার মধ্যে আনোয়ার হোসেন মজুমদার ছিলেন অন্যতম। ঢাকার কাকরাইল মোড়ে ‘ঢাকা কাবাব’ নামে প্রসিদ্ধ হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন এক সময়ের দাপুটি এই আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার মজুমদার। ওই সময়ে অনেকেই তার ‘ঢাকা কাবাবে’ গিয়ে একবেলা না খেয়ে ফিরেছেন, এমন ইতিহাস অনেকেরই অজানা। কিন্তু দু:সময়ের ত্যাগী এই আওয়ামীলীগ নেতা মৃত্যুর আগে শেষ সময়ে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকবছর কেটেছে অনেকটা একাকিত্ব, নিরবে-নিভৃতে। শেষ বিদায় জানাযা অনুষ্ঠানে অনেক পদধারী বড় বড় নেতা কে তার জানাযা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় নি।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share