রাজনীতি

কক্সবাজারের পথে খালেদা জিয়া

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের উদ্দেশে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হন।

তার আগে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ সফরে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব আরো জানান, চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে দলের নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকবে। এই ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁরা চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন এবং পথে সব ধরনের সহয়োগিতা করবেন।

‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিদেশ থেকে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবেন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন। সেই লক্ষে তিনি আজ সফর করছেন। তার এই সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার সৃষ্টি করেছে’, যোগ করেন ফখরুল।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু, বরকতুল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নির্বাহী কমিটির নেতারা রয়েছেন। রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রায় দেড় শতাধিক গাড়ির বহর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত হবে।

এ ছাড়া কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে অগ্রবর্তী দল রয়েছে। তাঁরা সেখানে আগেই পৌঁছে গেছেন।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটি বিএনপির চেয়ারপারসনের মানবিক সফর। সে কারণেই দলের নেতাকর্মীদের কোনো তোরণ বা গেইট নির্মাণ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা যাত্রাপথে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের চারদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে সরাসরি নিজের নির্বাচনী জেলা ফেনীতে যাবেন। সেখানে তিনি সার্কিট হাউসে দুপুরের খাবার ও নামাজ আদায় করবেন।

খানিকটা বিরতি দিয়ে বিকেলে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। রাতে বন্দর নগরীর সার্কিট হাউসে থাকবেন তিনি।

আগামীকাল রোববার সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। সে সময় চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার নেতরাও তাঁর সঙ্গে যুক্ত হবেন। এ দিন জেলা সার্কিট হাউসেই বিশ্রাম নেবেন তিনি।

পরের দিন সোমবার সকাল ১১টায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ দিতে যাত্রা করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে ফিরে জেলা সার্কিট হাউসেই বিশ্রাম নিবেন। পরে বিকেলে কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে সেখানেই রাতযাপন করবেন।

মঙ্গলবার ঢাকা উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছাড়বেন খালেদা জিয়া। আসার পথেও ফেনীতে যাত্রা বিরতি দেবেন তিনি।

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি’ উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা এরই মধ্যে ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের বেশির ভাগই ক্যাম্পে বসবাস করছে। এতে এক মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৩০ এএম, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭ শনিবার
এইউ

Share