Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / এহসানুল হক মিলন কে এক ভক্তের খোলা চিঠি
এহসানুল হক মিলন কে এক ভক্তের খোলা চিঠি

এহসানুল হক মিলন কে এক ভক্তের খোলা চিঠি

প্রিয় মিলন ভাই,জানি এই মূহুর্তে জীবনে সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে আছেন,যদি পারতাম চাঁদপুরের কারাগারের দেয়াল টপকে আপনাকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতে তাহলে বুকটা ফেটে গেলেও কোন দুঃখ ছিল না। আপনার সাথে আমার সম্পর্ক আনেক টা পারিবারিক,রাজনৈতিক নয়, কারণ আমি বি.এন.পি করি না,আমি করি জাকের পাটি।

আর আপনি হলেন যেই কয়জন বি.এন.পি কে বিশ্বের দরবারে হিমালয়ের চূড়ায়র সমান উচু করছে তাদের মধ্যে এক জন। এখন একটা কথা মনে আসলো আপনি কোন এক সময় বলে ছিলেন আমেরিকার নাগরিক্ত পাওয়ার সময় আপনি জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছেন।

টানা ১৫ দিন আপনি ভাত বা শক্ত খাবার ক্ষেতে পারেন নি। খাবার পাননি উপাস থেকে কোন মতে জীবন বাচিয়ে চিলেন, সেই নাগরিক্ত টাও বাদ দিয়ে ছিলেন,এই কচুয়ার জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে।

যাক আজ আর সেই দিকে যাচ্ছি না,শুধুই একটাই কথা কারাগারে কেমন আছেন?

আপনার নেতা, কর্মী সমর্থক রা ভালো নেই,সবার মনে কি পরিমান বেদনা তাহা আল্লাহ ছাড়া কেহ বুজতে পারবে না,এই মুহূর্তে চোখের জল দিয়ে আমার বলিস ভিজতেছে শুধু আপনি ব্যক্তি মিলনের জন্য।

শুধু এইটুকুই আমার মনে আসে আপনি কি করে সহ্য করে আছেন,বেবি আপাও আপনার কাছে নেই, তিনিও কি পরিমান কষ্টে আছে তাহা আল্লাহই ভালো জানে,কারণ শত কষ্টের মাঝেও তিনি সকল নেতা কর্মী কে যেই ভাবে আগড়িয়ে রেখেছেন ,কখনো মায়ের ভূমিকা, কখনো বড় বোনের ভূমিকা তাহা কল্পনা ও করা যায় না।

আপনি যানেনত কচুয়ায় আপনার নেতা কর্মীরা কি পরিমান কষ্টে ছিল। গত ১০ টি
বছর,মামলা,হামলা,সহ নানা ভাবে আর্থিক ক্ষতিতে আছে।

একটি কথা মনে পড়লো,আপনার একদলীয় কর্মীর সাথে দেখা হইছিল,ওনাকে দেখেছি দামী পোশাক,দামি মোবাইল ও বাইক চালাতে,কিনতু শেষ সময় এসে দেখলাম ওনার পায়ে ৫০টাকা দামের চেড়া চেন্ডেল,সালাম দিয়ে জিজ্ঞাস করলাম ভাই কেমন আছেন?

বলে মামলা চালাইতে চালাইতে সবশেষ করে এখন আর কিচুই নেই শেষ করার,(আমি মনে মনে বলি তা আপনার চেড়া জুতাই বলছে)।

কত নেতাকর্মী তাদের আপন জনের সুখের দিনে ত দূরে থাক মরার পর জানাজা টাও পড়তে পারে নাই মামলা হামলা,জেল জুলুমের কারনে।এই সব কিছু তারা হাসি মুখে মেনে নিচে শুধু আপনার দিকে তাকিয়ে।

আপনার জন্যে কচুয়ার জনগণ গর্ব করে নকল মুক্ত বাংলা দেশ গড়ার কারনে,আরেক টা হল কচুয়ায় পলিটেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠা করার কারণে, কিন্তু কেন আজ এমন হলো,কচুয়া বাসির প্রতি কেন হাইকমান্ড এই অবিচার করলো!

নাকি কোন কালো থাবার কারনে,কচুয়ার জনগনের চোখের জল ঝরলো, আমার মনে হয় কালো থাবাই,কারণ মির্জা ফখরুল সাহেবের আসহায়ত্বের চেহেরাই তাই প্রমাণ করে,অবশ্য কচুয়ার নেতা কর্মী রা ওনার সাথে যেই ব্যাবহার করেছে তা ঠিক হইনি।এর জন্য কচুয়ার নেতা দের ওনার কাছে ক্ষমা চাওয়া দরকার।

আবার মনে হয় মানুষ কিন্তু তার প্রিয় বস্তুুটাই কোরবানী দেয়। আপনাকে হয়তো দলে কোরবানী দিছে। আর কিছু বলার ভাষা হারিয়ে পেলেছি,,,মহান আল্লাহ সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দেক।

আর আপনার প্রিয় দল কালো থাবা মুক্ত হোক। আপনি দলীয় মনোনরন পাননি তাতে কি! জনসাধারণের মনে যেই জায়গা করে নিয়েছেন তাতে আপনি বেচে থাকবেন যুগের পর যুগ। মির্জা ফখরুল সাহেব কচুয়ার জনগনের পক্ষে ক্ষমা চাচ্ছি । -আল্লাহ হাফেজ ।

বার্তা কক্ষ
১১ ডিসেম্বর,২০১৮

Leave a Reply