Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে এসএসসি থেকে বঞ্চিত পাঁচ পরীক্ষার্থী
exam
ফাইল ছবি

হাজীগঞ্জে এসএসসি থেকে বঞ্চিত পাঁচ পরীক্ষার্থী

চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের অনৈতিক চাহিদায় আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে না পাঁচ পরীক্ষার্থী।

গত এক বছর পূর্বে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা অজুহাত দেখিয়ে ষ্টিম রোলার চাপিয়ে আসছে বলে অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ। তাছাড়া জামায়াতের অনুসারী হিসাবে বাংলাদেশ ছাত্র শিবির নামে এস এস সি পরীক্ষার রুটিন পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষের দশম শ্রেণীর টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ফরমফিলাপের কাজ সম্পন্ন করেনি। দেখা যায়, ম্যানেজিং কমিটি কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কোন প্রকার যোগ পরামর্শ না করে প্রধান শিক্ষক তার একক ক্ষমতা বলে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপের কাজ সম্পন্ন করেছে। তার মধ্যে যেসব পরীক্ষার্থী টেষ্টে ৫ বিষয় ফেল করেছে তাদের মধ্যে থেকে হাছান পাটওয়ারী নামে এক ছাত্রের অভিভাবকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফরম ফিলাপ করেছে বলে অভিযোগ উঠে।

অথচ মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের চার ও পাঁচ বিষয়ে অকৃতকার্য ৫ জন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মোটা অংকের টাকা প্রধান শিক্ষককে দিতে না পারায় আসন্ন এস এস সি পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহনের সুযোগ পায়নি বলে অভিযোগ উঠে।

বিদ্যালয়ের বঞ্চিত পরীক্ষার্থী মাসুম হোসেন, নাছরিন আক্তার, আফরোজা আক্তার, পিংকি আক্তার ও সালমা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রথমে বলেছে দুই বিষয়ে উপরে অকৃতকার্যদের ফরম ফিলাপ করাবে না। পরে কিভাবে আমাদের সাথের হাছান পাটওয়ারীর ৫ বিষয়ে ফেল করার পরেও তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দিল। আমরা তার চাহিদা অনুযায়ী এতো টাকা দিতে পারবো না যেনে আমাদেরকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন থেকে বঞ্চিত রেখেছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রিপন বলেন, প্রধান শিক্ষক জামায়াতের অনুসারী বলে আসন্ন পরীক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের লিপলেট বিতরন করেছে। আমরা এ ঘটনার তিব্র নিন্দ্রা জানাই এবং বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অনুসৃচনা প্রকাশ করে প্রশাসনের সৃ-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ব্যাস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টেষ্ট পরীক্ষায় শুধুমাত্র কৃতকার্যদের ফরম ফিলাপের সুযোগ রয়েছে । সেখানে ৫ বিষয় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে কিভাবে ফরম ফি করিয়েছে তা আমার জানা নেই। বঞ্চিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও যদি এ ধরনের কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পেতাম তাহলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো।

স্টাফ করেসপন্ডেট