Home / চাঁদপুর / ‘এক সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে হলে জাদুঘরে যেতে হবে’
এক সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে হলে জাদুঘরে যেতে হবে

‘এক সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে হলে জাদুঘরে যেতে হবে’

চাঁদপুর পুরাণবাজারে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তারা

চাঁদপুর পুরাণবাজার মধুসূূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবের ১১তম দিনেও উৎসব মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে।

প্রতিদিনের ন্যায় রোববার সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান স্মৃতিচারক হিসেবে যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নেছার উদ্দিন আহমেদ।

চাঁদপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহকারী কমান্ডার মো. সুলতান আহমেদ মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও স্মৃতিচারণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্লা মিয়ার পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মজিবুর রহমান।

বক্তারা বলেন, আজকের নতুন প্রজন্মরাই আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনাতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। সেদিন কী কারণে আমরা নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যুদ্ধকালীন সময়ে আমাদের সময় কীভাবে কেটেছে, কত ত্যাগ এবং কষ্ট আমাদের সহ্য করতে হয়েছে তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহ্বানেই আমরা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আগামী দিনে আপনারা একজন জাতীয়সংঘের মহাসচিব পাবেন, রাষ্ট্রপতি পাবেন, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা পাবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক বয়স হয়েছে, তাই আগামী ১০/১৫ বছর পর আপনারা আর কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে হলে জাদুঘরে যেতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা আপনাদের কিছুই দিতে পারিনি কিন্তু একটি পতাকা দিতে পেরেছি, একটি মানচিত্র, একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিতে পেরেছি। আর তাই এখন আর পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের নাম ধরে গালি দিতে পারে না।

রাত ৮টায় তারুণ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানপূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশীদ, সম্মিলিত সাস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, সম্মিলিত সাস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সদস্য সচিব ইয়াহিয়া কিরণ, তারুণ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পাটোয়ারী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজয় উৎসব স্টিয়ারিং কমিটির মহাসচিব রাধা গোবিন্দ ঘোষ, উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক, সহ সভাপতি ফারুক সরকার, যুগ্ম সচিব মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সব শেষে উপস্থিত দর্শকদের অংশগ্রহণে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট

|| আপডেট: ১০:০৭ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৬, সোমবার

এমআরআর