জাতীয়

এক লাখ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সরকার এক লাখ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ও আপদকালীন মজুদ হিসেবে আপাতত এক লাখ টনের মতো কয়লা আমদানি করা হবে। এজন্য টেন্ডার হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অলরেডি টেন্ডারে চলে গেছে। স্টক বিল্ডআপ করার জন্য আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়লা আমদানি করবো। এটা রেগুলার ভিত্তিতে হবে না। যেকোনো ইমার্জেন্সিতে। এটা একটা ইর্মাজেন্সি।

তিনি বলেন, কয়লা খনিতে যেকোনো সময় ওয়াটার বিল্ডআপ করতে পারে। তখন কি হবে। আবার অনেক দেশে অনেক রকম ধস নেমেছে। অনেক লোক মারাও গেছে। খনিতে পরিস্থিতি হয় এরকম। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির আমরা একটা স্টক বিল্ডআপ করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়লা আমদানি করতে যাচ্ছি। লাখ খানেক টনের মতো হবে আপাতত।

কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে অসুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হলো ক্যারিং করাটা। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বড়পুকুরিয়া নিয়ে আসাটা।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা লোপাট বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এরইমধ্যে তদন্তের দুটো রিপোর্ট পেয়ে গেছি। কারা কারা জড়িত বা কিভাবে হয়েছে বা কিভাবে করতে যাচ্ছে এটার রিপোর্ট হয়েছে। সে অনুপাতে তাৎক্ষণিকভাবে তো তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি কোনোরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবো না। এটাতো মন্ত্রণালয়ের বিষয় না, মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে কোম্পানি থাকে পেট্রোবাংলা তাদের বিষয়। এবং সেখানে কোনো রকম দুর্নীতির ছিটেফোঁটা হলেও সেটা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

কয়লা লোপাটে কারা জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা যেহেতু মামলা করেছি, মামলার তদন্তের ওপর এখন নির্ভর করছে। এই তদন্ত রিপোর্টগুলো হয়তো সাপোর্টিং হবে মামলার জন্য। আর দুদকও মামলা করেছে।

তিনি বলেন, আর আমি প্রকাশ্যে এভাবে বলতে চাই না। এগুলো মামলাকে অন্যদিকে নিয়ে যাবে।

‘আমরা বলতে চাচ্ছি এটাতো একদিনের ব্যাপার না। ১ লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা সরাতে ৩০ হাজার ট্রাক লাগতো। এটাতো একদিনে হয়নি। এটা ২০০৫ সাল থেকে স্টকে বিল্ডআপ করে করে তারপর সরিয়েছে। সেটা ধরা পড়ায় ভালো হয়েছে। যে অন্তত শেখ হাসিনা সরকারের সময় এই দুর্নীতিটি ধরা পড়েছে। ধরা তো পড়েছে আমাদের হাতে’।

কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বর নাগাদ অল্প পরিসরে চালু করতে পারবো। অক্টোবর নাগাদ আমরা পুরোমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতো পারবো। (বাংলানিউজ)

Share