এক রাজা এক মন্ত্রীকে হরিণের বাচ্চা উপহার দিলেন। বললেন, এক বছর পর এই বাচ্চাটি আমার সামনে আনবে। আমি দেখতে চাই বাচ্চাটি এখন যেমন আছে তেমনই থাকবে। বাচ্চাটিকে না খাইয়ে রাখা যাবে না। আবার মোটাতাজা থেকে চিকন করার পদ্ধতিও ব্যবহার করা যাবে না। লালন-পালন করতে হবে স্বাভাবিক নিয়মে।
মন্ত্রী পড়লেন বিপাকে। কী করে সম্ভব? বাড়ি ফিরে মন খারাপ করে বসে রইলেন। ঘনিষ্ঠ এক সহচর এলেন মন্ত্রীর কাছে। মন খারাপ দেখে কারণ জানতে চান। মন্ত্রী বললেন, রাজাকে নিয়ে টেনশনে আছি। এবার মন্ত্রিত্ব যাবে। এখন গর্দান রক্ষা নিয়ে চিন্তায় আছি।
সহচর বিস্ময় নিয়ে তাকালেন।
মন্ত্রী বললেন, আমাকে হরিণ শাবক দিয়ে মহাপরীক্ষায় ফেলেছেন রাজা মশাই। বলুন তো দেখি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করার এক বছর পর একই স্বাস্থ্য কীভাবে থাকবে? একই ওজনে কীভাবে রাখব? আজব! এভাবে কি মন্ত্রীগিরি করা যায়?
পরামর্শক বললেন, সমস্যা নেই। আপনি দিনের বেলা হরিণ শাবককে খাবার দেবেন। আর রাতে রাখবেন বাঘের খাঁচার সামনে। মন্ত্রী বললেন এতে কী হবে? পরামর্শক বললেন, দেখুন না কী হয়। আমার মনে হয় কাজ হবে। মন্ত্রী তাই করলেন। কাজের লোকজনকে নির্দেশ দিলেন দিনের বেলা হরিণ শাবককে খাবার দিতে।
আর রাতে বেঁধে রাখতে বাঘের সামনে। মন্ত্রীর নির্দেশ বলে কথা। রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংগ্রহ করা হলো। দিনে হরিণ শাবক সব খাবার পেত। রাতে তাকে বেঁধে রাখা হয় বাঘের সামনে। দূরত্ব রাখা হয়, যাতে বাঘ খেয়ে নিতে না পারে। সারা রাত ভয়ে হরিণ ছানার চোখে ঘুম হারাম।
এক বছর পর রাজার সামনে সেই হরিণ শাবককে নেওয়া হলো। রাজা দেখলেন, হরিণ শাবক এক বছরে একটুও বাড়েনি। যে রকম অবস্থায় মন্ত্রীকে দিয়েছিলেন তেমনই আছে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি দেখে গল্পটি মনে পড়ে গেল। সেই একই চিত্র। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। বিএনপি প্রথম পাঁচ বছরে ভালো অবস্থানেই ছিল।
সংসদে আসন কম থাকলেও বিরোধী দল হিসেবে শক্তিশালী ও দাপট ছিল। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ছিল তার মতো করে নিজেদের ঝুট-ঝামেলায়। সবকিছু বদলে যায় গত নির্বাচনে। নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিএনপি একটা ভুল চালে পড়ে।
অবরোধের আগুন ও হিংসাত্মক তত্পরতা আরও ঝামেলা বাড়িয়ে দিয়ে যায়। হামলা-মামলায় বিএনপি কর্মীরা এখন হরিণ শাবকের মতো। বিএনপির বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছু দিন আগে একটি টেলিভিশনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ নূরে আলম সিদ্দিকী কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, বিএনপি এখন নখ-দাঁতহীন এক বাঘ। হালুম হালুম করবে কিন্তু আন্দোলন করতে পারবে না। ঘুরে দাঁড়াতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমারও তাই মনে হয়। রাতে বাঘের খাঁচার সামনে থেকে রাজনীতি করা যায় না।
নূরে আলম সিদ্দিকী অবশ্য আওয়ামী লীগ সম্পর্কেও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, হঠাৎ বিপদে পড়লে নবাগত হাইব্রিড আওয়ামী লীগাররা পালাবে। তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। ত্যাগী নেতা-কর্মীরা দলকে টিকিয়ে রাখতে আবার লড়াই করবে। দুটি দলের বাস্তবতা দুই রকমের।
এই বাস্তবতা তৈরি ওয়ান-ইলেভেনের পর। ওয়ান-ইলেভেন আমাদের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে।
আমি ভেবেছিলাম ওয়ান-ইলেভেনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে সহজতর সম্পর্ক তৈরি হবে। পরস্পরের মাঝে শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি হবে। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। ওয়ান-ইলেভেন থেকে কেউ শিক্ষা নেয়নি।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়াই ইতিহাসের শিক্ষা। ওয়ান-ইলেভেনের সময় অনেক রাজনীতিবিদকে দেখতে গিয়েছি কাশিমপুর ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি হাসপাতালে। তাদের আহাজারি শুনেছি।
দুপুরে দল বেঁধে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাদের দেখেছি, পুলিশের গাড়িতে বসে আহার করতে। গাজীপুর কিংবা ঢাকা জেলে একজনের বাড়ির খাবার আরেকজন ভাগ করে খেয়েছেন।
এখন কেউ কারও ছায়া মাড়ান না। পরস্পরের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্কটুকুও নেই। হিংসার রাজনীতির অনলে পুড়ছে সবকিছু। ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসা পুড়িয়ে দিচ্ছে স্বাভাবিক রাজনীতির সেতুবন্ধকে।
এর খেসারত সমাজেও আছড়ে পড়ছে। মানুষের মাঝে তৈরি হচ্ছে হিংসা-বিদ্বেষ। ছারখার হচ্ছে সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যক্তি। আবেগ-অনুভূতিগুলো শূন্য হয়ে আছড়ে পড়ছে বিবেকের মাঝখানে। যাযাবরের হৃদয় আকুল করা প্রেমে এখন আর কেউ উতাল হয় না।
শুধু দহনে সবকিছু পুড়ছে। কষ্টের দাবদাহের লেলিহান শিখা মানবিকতাকে ছারখার করছে। রহস্যময় বঞ্চনা চারপাশে। এই বঞ্চনা যাযাবরের নয়। দৃষ্টিপাতে যাযাবর প্রেমের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রবঞ্চনা দিয়ে। সমাজে চলছে এখন এক ধরনের প্রবঞ্চনা।
যাযাবর লিখেছেন, ‘প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা। কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কি? তাকে দেয় দাহ। যে আগুন আলো দেয় না, অথচ দহন করে।’
রাষ্ট্র ও সমাজে আজ দীপ্তিহীন আগুনের নির্দয় দহনের লেলিহান শিখা। আলো ভেবে এই আগুন ধরে আমরা পুড়ছি। চাওয়া-পাওয়ার হিসাবগুলো বদলে যাচ্ছে। চিন্তার পরিবর্তন রন্র্লে রন্ধ্রে।
ভালোবাসার আগুন কাউকে স্পর্শ করে না। অথচ স্বার্থ, চাওয়া-পাওয়ার হিসাব সমাজের নৈতিকতাকে ছাই করে দিচ্ছে। মূল্যবোধগুলো হারিয়ে গেছে। মানুষ খুনি হচ্ছে। ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার প্রশ্নবিদ্ধ। শিশু তার মাকে প্রশ্ন করছে, পড়াশোনা না করলে তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে?
কেন এমন হলো?
সমাজে, সংস্কৃতিতে, নীতিতে মূল্যবোধগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। মা শব্দটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।
অনেক দিন আগে উত্তম কুমারের একটি বাংলা ছবি দেখেছিলাম। ছবির নাম রাজকুমারী। গানের শিল্পী উত্তম কুমার প্রেমে পড়েন রাজকুমারীর। কঠোর অনুশাসনে রাজকুমারীর বেড়ে ওঠা। মা কঠোরভাবে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করেন। মায়ের অনুমতি ছাড়া কন্যার ঘরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর মাঝে সেলাই শিখতে গিয়ে পরিচয় উত্তম কুমারের সঙ্গে।
কারণ উত্তম কুমার সেলাই শিক্ষিকার ভাই। পরিচয় থেকে প্রেম। মা জেনে যান একদিন সবকিছু। কন্যার চলাফেরায় আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। এই নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে রাজকুমারী উত্তমের সঙ্গে বিবাহের লগন ঠিক করেন।
ঘর থেক বেরুনোর সময় মা বললেন, আমি অভিশাপ দিচ্ছি তুই কোনো দিন সুখী হবি না। কন্যা মায়ের আদেশ মানলেন না। বিয়ের আসরে গেলেন। কর্মস্থল থেকে বিয়ের আসরে আসতে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন উত্তম।
তার আর বিয়ের আসরে আসা হয় না। তিনি চোখ হারান। এ কারণে নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। মন খারাপ করে রাজকুমারী আবার ফিরে এলেন মায়ের বাড়ি। ঘরে ফেরার পর চিৎকার করে মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, মারে আমি তোকে মন থেকে অভিশাপ দেইনি। আমার মেয়ের সুখ চেয়েছি। ভয় ছিল গরিব ঘরের ছেলেটি তোকে না তোর অর্থকে ভালোবেসেছে।
তারপরও কেন এমন হলো। আমি তোর কল্যাণ চাই মন থেকে। এমনটা চাইনি। কন্যার জন্য মা অসুস্থ হলেন। একপর্যায়ে মারা গেলেন। বাংলাদেশের মায়েরা এর চেয়ে বেশি কঠোর হতে পারেন না।
বাবারা সিনেমাতে নায়কের কাছে সব সময় ভিলেন। মায়েরা না। হুমায়ূন আহমেদ তার মেয়েদের লিখেছেন, স্বামীরা খারাপ হন। বাবারা নন। মায়েদের মূল্যায়ন অনেক উঁচুতে।
এখন কয়েকজন মাকে আসামির কাঠগড়ায় দেখে মনটা এলোমেলো হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কেন এমন হচ্ছে? মা কেন এত নিষ্ঠুর হবেন? তাহলে সমাজে বিশ্বাসের সম্পর্ক আর কার সঙ্গে থাকবে?
উত্তরায় একটি পরিবারের সব সদস্য পুড়ছে। পাড়াপড়শি কেউ এগিয়ে এলেন না। আহারে, আমাদের সামাজিক বন্ধনগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। সমাজের জটিল দিকগুলো ভাবিয়ে তুলছে।
এখনকার হিন্দি সিরিয়ালগুলো অবক্ষয় বয়ে আনছে। সিরিয়ালে পারিবারিক বন্ডসের ধ্বংস দেখানো হয়। এক নারী লেগে যান আরেকজনের বিরুদ্ধে। আমাদের অনেক টিভিতেও এমন সিরিয়াল দেখানো হয়। কিন্তু এই সিরিয়ালগুলো আমাদের সামাজিক ভিত্তির ক্ষতি করছে।
মানুষকে স্বার্থবাদী করে তুলছে। পারিবারিক মমত্বের জায়গাগুলোকে নষ্ট করছে। অর্থবিত্তের নেশায় মানুষ নৈতিক মূল্যবোধগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। এ কারণেই বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। পরিবার ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়।
আমাদের ঘুম ভাঙতো মায়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতের আওয়াজ শুনে। বাবা হৈচৈ করতেন ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য। যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য ছিল। এক বাড়ির কিশোরকে অন্য বাড়ির মানুষও শাসন করতেন আদাব-কায়দা মেনে না চললে।
এখন কোনো কিছুই নেই। সবকিছু হারিয়ে গেছে। হিন্দুুদের পূজায় মুসলমানরা যেতেন। মুসলমানদের ঈদে আসতেন হিন্দুু পরিবারের সদস্যরা। সাম্প্রদায়িক একটা সম্প্রীতি ছিল।
মানুষ দিনে কাজ করত। রাতে শুনত পালা, জারি, মুর্শিদী গান। দেখত যাত্রা। ধর্মের স্থানে ধর্ম থাকত। মানুষের সঙ্গে মানুষের সৌহার্দ্য ছিল। একজনের বিপদে পুরো গ্রাম ছুটে আসত।
এক বাড়িতে রান্না হলে ১০ বাড়ি খেত। আধুনিক সভ্যতা মানুষের চিরন্তন সংস্কৃতি কেড়ে নিয়েছে। মানুষের মাঝে তৈরি করেছে হিংসা-বিদ্বেষ। একটা অসুস্থ মনোবৃত্তি ঘরে ঘরে।
মানুষের মাঝে আশার আলো জ্বালিয়ে তুলতে হবে। মানসিক অসুস্থতার কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সমাজে অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ বের করতে হবে। সমস্যা বের হলে সমাধান আসবে। হতাশার কিছু নেই।
আইনের শাসনে থাকতে হবে জিরো টলারেন্সে। জাগ্রত করতে হবে সামাজিক মূল্যবোধের। তাহলে অন্ধকার নয়, তৈরি হবে আলোর ছটা। আলোকিত হবে চারপাশ।
পাদটীকা
ঘুষ, দুর্নীতি, সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক অবক্ষয় আগেও ছিল। এখনো আছে। কিন্তু এখন কেন এত ভয়াবহ? কেন বাড়ছে এর মাত্রা? আগে সবার মাঝে লাজলজ্জা ছিল। এখন তাও নেই। মনে আছে এক যুগ আগের একটি ঘটনা। আমি তখন কাজ করতাম এটিএন বাংলায়। মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিমান প্রতিমন্ত্রী। একদিন বিমানবন্দরে গেলেন। দেখলেন কাস্টমসের বড় কর্মকর্তার দরজা বন্ধ। তার সন্দেহ হলো। তিনি দরজা ধাক্কা দিলেন, খুলল না ভিতর থেকে। এবার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বললেন দরজা ভাঙতে। মন্ত্রীর নির্দেশ বলে কথা। দরজা ভাঙা হলো। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা চমকে উঠলেন। এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান রিপোর্টারও ছিলেন। তারা ছবি ধারণ শুরু করলেন। কাস্টমস কর্মকর্তার টেবিলজুড়ে টাকা আর টাকা। মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন বিমান প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু দেখা দেয় আইনগত সমস্যা। কারণ কাস্টম হলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। মীর নাছির বিমান মন্ত্রী। প্রশ্ন হলো, তিনি অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আদেশ দিতে পারেন কিনা। বিমানবন্দর হলো সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
সেই দফতরের মন্ত্রী হিসেবে মীর নাছির পুলিশ ডাকলেন। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। বিষয়টি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ায়। অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ব্যথিত হয়েছিলেন তাকে না জানিয়ে তার কর্মকর্তাদের পুলিশে দেওয়ার কারণে। এখনো এসব সমস্যা আছে। এক মন্ত্রণালয়ের চুরি দেখলেও আরেক মন্ত্রণালয় চুপ থাকে। মীর নাছিরের সময় কর্মকর্তার চক্ষুলজ্জা ছিল। দরজা বন্ধ করেছিলেন। এখন এত রাখঢাক নেই। যার যা খুশি করছে। কেউ কাউকে মানে না। কারও প্রতি কারও শ্রদ্ধা নেই। দয়ামায়া নেই। একটা ভয়ঙ্কর সময় পার করছি আমরা। এ সময় থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
লেখক- নঈম নিজাম
সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রতিদিন
লেখাটির সূত্র লেখকে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
ফিচার ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ