একাদশ শ্রেণির ‘ভর্তি নীতিমালা-২০১৮’ জারি করা হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন স্বাক্ষরিত আদেশে এ নীতিমালা জারি করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ১৩ মে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে।
নীতিমালায় গতবছরের মতোই অনলাইন এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেয়া হবে মোট ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য মোট ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। এরপর আরও একাধিক ধাপে ফল প্রকাশ ও মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আগামী ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।
ভর্তির ফি
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওভহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসাবে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ নয় হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকারি কলেজগুলো সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালার কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকরি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শতভাগ মেধায় ভর্তি তবে…
নীতিমালা অনুযায়ী এবার একাদশে শতভাগ মেধারভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে মেধারভিত্তিতে ভর্তির পর অগ্রাধিকার বা বিশেষ কোটায় আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর কোটায় ৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরগুলোয় কর্মরতদের সন্তানের জন্য ২ শতাংশ, বিকেএসপি ও প্রবাসী কোটায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ভর্তি করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত শিক্ষার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে (অতিরিক্ত আসন) অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।