Home / শিক্ষাঙ্গন / একাদশে ভর্তি : অনলাইনে যেভাবে করা যাবে আবেদন
admission

একাদশে ভর্তি : অনলাইনে যেভাবে করা যাবে আবেদন

শনিবার মধ্যরাত থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অনলাইন ও এসএমএমের মধ্যমে কলেজ-মাদরাসায় ভর্তি কার্যক্রম চলছে।

অনলাইনে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে প্রথমে মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক, গ্রামীণফোন ও মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ বা শিওরক্যাশের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেয়ার পর কনফার্মেশন এসএমএসের ভিত্তিতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

অনলাইনে যেভাবে করা যাবে আবেদন :

www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এর আগে শিক্ষার্থীকে তার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল ব্যবহার করে এসএমএস করে টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ এর মাধ্যমে ১৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে টেলিটক সিম থেকে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে CAD স্পেস WEB স্পেস পরীক্ষা পাসের Board এর নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস পরীক্ষার রোল স্পেস পরীক্ষা পাসের সন লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম ও আবেদন ফি বাবদ ১৫০ কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন কোড দেয়া হবে। ফি দিতে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে CAD স্পেস YES স্পেস PIN স্পেস CONTACT NUMBER (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফি সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণের একটি Transaction IDmn SMS যাবে।

টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ মাধ্যমে নির্ধারিত আবেদন ফি ১৫০ টাকা জমা দেয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে www.xiclassadmission.gov.bd Apply Online -এ ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে।

এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে আবেদনকারী একটি ফরম পাবে, সেটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। একইভাবে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে প্রার্থীকে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০ টাকা আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০ টাকা চার্জ করবে।

এসএমএসে আবেদন :

এসএমএমের মাধ্যমে আবেদন শুধু টেলিটক প্রি-পেইড সংযোগ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এভাবে টাইপ করতে হবে- CAD ভর্তিচ্ছু কলেজ/মাদরাসার EIIN ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের সাল, এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ভর্তিচ্ছু শিফটের নাম ভার্সন/কোটার নাম (যদি থাকে)। এরপর মেসেজটি send করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

জানা গেছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে আবেদনকারীর বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবারই প্রথম ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৮২ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪৫টি কলেজ আছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. হারুন-অর-রশিদ জানান, এবার ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মেধাক্রমও থাকবে। আবেদন করতে গেলেই শিক্ষার্থীরা নিজের মেধাক্রম দেখতে পাবে। চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তাও বুঝতে পারবে। এতে আবেদন জটিলতা ও সংকট থেকে রেহাই মিলবে।

এবারও তিন ধাপে নেয়া হবে আবেদন। প্রথম ধাপে আবেদন করা যাবে ২৩ মে পর্যন্ত। এ পর্যায়ে আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুনই এদের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ হবে ২৫ জুন। ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হতে হবে। ১ জুলাই শুরু হবে ক্লাস।

অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি আবেদন করা যাবে। এজন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। দিতে হবে ১২০ টাকা। কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। কলেজ পছন্দের ঝক্কি দূর করতে এবার প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত আবেদন তালিকায় কলেজের পছন্দক্রম রদবদল করা যাবে।

কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ জন্য গত বছর ১৮৫ টাকা নেয়া হতো। এবার ১৯৫ টাকা নেয়া হবে। বিলম্ব ফি ৫০ টাকার বদলে ১০০ টাকা, ইয়ার লসের জন্য ১০০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্য ফি গত বছরের মতোই। ভর্তিকালে কলেজ-মাদরাসাগুলো কত টাকা নেবে তা আগেভাগেই ঘোষণা করতে হবে। ঘোষণা ছাড়া অর্থ নিলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভর্তি নীতিমালায় একাদশ শ্রেণিতে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল, পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য সব মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোটা : এবার ভর্তির সব আসনেই মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। তবে বিভিন্ন কোটার মধ্যে আছে- মুক্তিযোদ্ধা-রাজধানীতে ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদরে ৩ শতাংশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন সব দফতরে ২ শতাংশ, বিকেএসপিতে ০ দশমিক ৫ এবং প্রবাসী ০ দশমিক ৫ শতাংশ করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।

কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি :

এদিকে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস, গ্রাফিক্স আর্টস ইনস্টিটিউট, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন সার্ভে ইনস্টিটিউট, ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম রোববার শুরু হচ্ছে।

একটানা ৮ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ফল প্রকাশ ১৫ জুন। পরদিন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত মূল মেধাতালিকায় স্থান প্রাপ্তরা ভর্তি হতে পারবে। ২৯ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীরা ভর্তি হবে।

বার্তা কক্ষ
১২ মে ২০১৯