১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ উপলক্ষে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ অক্টোবর সোমবার সকালে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাজিম দেয়ান।
তিনি বলেন, ‘ ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। অনেকেই অভিযোগ করেন অভিযানের সময় জেলেরা সরকারি চাল না পেয়ে পেটের দায়ে নদীতে মাছ শিকার করতে যান।
আসলে চাল দেয়ার সাথে মাছ ধরার সম্পর্ক নয়। কারণ দেখা গেছে অনেক জেলেই নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে চাল পেয়েও সে চালের ভাত নিয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামেন। ‘
তিনি বলেন,’ প্রকৃত নিবন্ধিত জেলেদেরকে চাল দিতে হবে। নিবন্ধিত জেলের উপস্থিতি ছাড়া এবং জেলা ব্যধিত কোনো টোকেন দিয়ে কাউকে চাল দেয়া যাবেনা।’
অভিযান চলকালে যারা ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে মাছ শিকারে নামেন তাদের নৌকার ইঞ্জিন খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে যেসব স্পটগুলোতে মাছ মাছ বেচা বিক্রি করা হয়, সেসব স্থান গুলোর খালে বেরিকেট দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন,’অভিযানের সময় নদী তীরবর্তী এলাকার অনেক গোপনস্থানে এবং বিভিন্ন বাড়িতে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়।’
সে বিষয়েও চাঁদপুর জেলা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন কঠোর হলে অভিযানে আমরা অনেকটা সুফল পাবো। ‘
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, চাঁদপুর সদরের রাজরাজ্বেশর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হযরত আলী বেপারী,হানারচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার রাঢ়ী,চান্দ্রা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী, হরিণা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হাসানাত,ক্রান্ট্রি ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তসলিম বেপারী প্রমুখ।
এসময় চাঁদপুর সদরের অন্যান্য নৌ-পুলিশ,কোস্টগার্ড ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধরা।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১২ অক্টোবর ২০২০