Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / উটতলী খেয়াঘাটের সেতু এখন চাঁদপুরের দু’উপজেলার প্রাণের দাবি
Othtoli Ghudara

উটতলী খেয়াঘাটের সেতু এখন চাঁদপুরের দু’উপজেলার প্রাণের দাবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি উটতলী খেয়াঘাটের উপর দিয়ে একটি সেতু (ব্রিজ) ।

কিন্তু স্বাধীনতার আগ থেকে যুগের পর যুগ উটতলী খেয়াঘাট দিয়ে দুই উপজেলার হাজারো মানুষ দৈনিক এপার থেকে ওপারে নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে আসছে। আর এতে করে চাকুরিজীবি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্য স্থানে পৌছতে বেগ পেতে হচ্ছে। অথচ দেশের চলমান উন্নয়নে দুই উপজেলার কোন জনপ্রতিনিধির চোঁখ এ ঘাটের উপর পড়তে দেখা যায়নি স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী উটতলী ও ফরিদগঞ্জের টোরামুন্সীর হাট এর মধ্যবর্তী ডাকাতিয়া নদী। আর এ নদীর উপর দিয়ে নৌকা যোগে দুই পাড়ের মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পারাপার হচ্ছে।

আর এতে করে দুই পাড়ের মানুষকে যাওয়া ও আসার সময় ৩ টাকা করে ইজারাদারকে ও ৫ টাকা করে নৌকার মাঝিকে দিয়ে আসছে। আর এতে বিশেষ করে হাজীগঞ্জ অঞ্চলের অলিপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা উপারের মুন্সীর হাটে স্কুল কলেজে আশা-যাওয়ার সময় দৈনিক নগদ টাকা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়াও দুই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজারে আশা যাওয়ায় সাধারন মানুষের মালামাল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে খেয়াঘাটে পারাপার অবস্থায় কথা হয় শিক্ষার্থী হাছান, রকি, আলমগীর, সবুজ, লায়লা আক্তার, নূরজাহান, এরিনা রানীসহ একাধিক যাত্রীদের সাথে। তারা বলেন, আমরা দৈনিক নৌকা ভাড়া ও ঘাটের ইজারাদারের ভাড়া দিয়ে প্রতিনিহিত পারাপার হয়ে আসছি।

চাঁদপুর থেকে শাহরাস্তি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর উপর সবগুলো ব্রিজ বাস্তবায়ন হলেও সবচেয়ে বেশী জনগুরুত্বপূর্ণ উটতলী ব্রিজটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এক প্রকার ক্ষোভের সাথে সরকারের কাছে দাবি করেন অচিরেই যেন দুই উপজেলার অন্তগত উটতলী টু মুন্সীর হাট ব্রিজটির ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে।

উটতলী খেয়াঘাটের ইজারাদার তাফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এক সময় এ ঘাট দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার লোক পারাপার করতো। তখন ১ টাকা করে অনেক টাকা হতো। কিন্তু পূর্বের ইজারাদার ইজারা নিতে গিয়ে ২/৩ লক্ষ টাকা দর উঠিয়েছে। গত বছর এক লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ঘাটের ইজারা নিয়েছি। দিন দিন লোকজন কম আসা যাওয়ার কারনে জনপ্রতি ৩ টাকা করে খাজনা আদায় করছি।’

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়