Home / সারাদেশ / উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যেতে চাইলে কী করতে হবে?
উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যেতে চাইলে কী করতে হবে?

উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যেতে চাইলে কী করতে হবে?

‎আমেরিকাতে higher স্টাডি করার জন্য মোটামুটি দেড় বছর আগ থেকে চিন্তা শুরু করা লাগে। এই সময়ের মধ্যে এর প্রিপারেশন নেয়া। পরীক্ষার ডেট ফিক্স করা। স্কোর ঠিক মত যেনো আসে তার জন্য অনুশীলন করা। প্রফেসরদের ইমেইল দিতে হবে ফান্ডের জন্য।

এজন্য কোন কোন ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করবেন সেটা আগে ঠিক করতে হবে। তারপর এপ্লাই করা, এপ্লিকেশন ফি দেয়া। এক এক জায়গায় এপ্লাই করতেই ৪/৫ ঘন্টা নাই হয়ে যায়। কাগজপত্র, SOP টেস্টের স্কোর পাঠানো। এডমিশন হইলে, ফান্ডের খোঁজ। তারপর I-20 এর জন্য অপেক্ষা। সেটা পাইলে সায়মন সেন্টারে ভিসার জন্য ইন্টারভিউ ডেট নেয়া। তারপর ভিসা ইন্টারভিউ দিয়া, সিকিউরিটি চেক খাইয়া, ডেইলি দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া। তারপর ভিসা পাইলে, টিকেট কেটে, বঙ্গবাজারের টিশার্ট কিনে, সিএনজিতে করে এয়ারপোর্ট আসা। তারপর মালেশিয়ান এয়ারলাইন্স করে উড়াল দেয়া।

১.
সবার আগে ঠিক করতে হবে, আপনি কি মাস্টার্স করতে চান না পিএইচডি। ডিগ্রীর নাম ভাঙ্গাইয়া আপনি কি করতে চান? আপনার লক্ষ্য যদি ফকির মার্কা হইলেও একটা চাকরি করা, তাইলে খালি মাস্টার্স হইলেই চলবে। আবার আপনি যদি কর্পোরেটে রিসার্চার হিসেবে জব করতে চান, তাইলে পিএইচডি লাগবে। আপনি ফ্যাকাল্টি হইতে হলে পিএইচডি মাস্ট লাগবে। আর ফ্যাকাল্টি হইতে হলে, কত ভালো ভার্সিটি থেকে পিএইচডি করছেন আর রিসার্চ কিরকম পদের হইছে সেটার উপর অনেক নির্ভর করবে। তবে ফ্যাকাল্টি পজিশন পাওয়া টাফ। ফ্যাকাল্টি পজিশনে যাবার জন্য অনেকেই পোস্টডক (পিএইচডি করার পর রিসার্চার হিসেবে) করে। অনেক ফ্যাকাল্টি জবের জন্য পোস্টডক এক্সপেরিয়েন্স মাস্ট। কারণ ফ্যাকাল্টি পজিশন ওপেন হয় সাধারণত কেউ মারা গেলে। আর পিএইচডি করে তিন প্রকারের লোক। প্রথম প্রকার হচ্ছে, যারা মাস্টার্স করে চাকরি পাচ্ছে না, তাই পিএইচডি করে। দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে, যারা মাস্টার্স এর জন্য ফান্ডিং জোগার করতে ব্যর্থ হইয়া পিএইচডি ফান্ড পাইয়া, অগত্যা জ্ঞান হাছিল করতেছে। আর তৃতীয় প্রকারের উচ্চবংশীয় আতেল, জিনার শখ কৈরা ঝাপ মারছে, জ্ঞানের সাগরে।

২.
যদি আপনি ভালো ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চান বা আপনার GPA খারাপ হয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই ছয় মাস/এক বছর ধরে পড়ে। কেউ আন্ডারগ্র্যাড এর ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে পড়ে। কোনটাই সুবিধে না করতে পারলে, পকেটের কিছু টেকা কোনো কোচিং সেন্টারকে দিয়ে বাধিত হোন। হাল্কা চাল্লু হলে, শিক্ষক ডট কমে একটা কোর্স আসে GRE এর উপ্রে সেটা দেখতে পারেন। আর আমার মতো গাধা হইলে, barrons হাই ফ্রিকোয়েন্সি ৩৩৩ টা ওয়ার্ড পড়ে সুবিধে না করতে পেরে বুদ্ধি বের করবেন। আমার বুদ্ধি ছিলো এনালজি, ফিল ইন দ্যা গেপ যাই কোশ্চেন আসুক না কেনো। যেদুইটা answer সঠিক বলে মনে হয়, সেই দুইটা বাদ দিয়ে অন্য দুইটা থেকে একটা বেছে উত্তর দেয়া। কম্প্রীহেনসন আমার মত দ্রুত কেউ উত্তর দিতে পারছে কিনা, আমার সন্দেহ আছে। কারণ আমি essay পড়িই নাই। সেই করে ৩৪০ পাইছি ৮০০ এর মধ্যে। তার আগে কতগুলা মডেল টেস্টে ২৮০ ম্যাক্সিমাম পাইছিলাম। টিউশনি আর কোচিং সেন্টারের জোড়ে ম্যাথে ৮০০ তে ৮০০ পাইয়া কোনো রকমে বাইচ্চা গেছি গা।

৩.
GRE, TOEFL বা IELTS দেয়ার পাশাপাশি আপনাকে ইউনিভার্সিটি ঠিক করতে হবে। সেটা হবে, প্রফেসরের সাথে মেইলে তেলানোর মাধ্যেমে। আপনারে বুঝাইতে হবে, আপনি হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা, রিসার্স এর চৌদ্দ গোষ্টি উদ্ধার করেঙ্গা টাইপ। সেক্ষেত্রে আপনার পজিটিভ দিকগুলা তুলে ধরতে হবে আর নেগেটিভ দিকগুলা এর জন্য একটা explanation বলতে হবে। এক মেইলেই সব বলতে যাবেন না। বরং কোনো ছোট্ট সুন্দর, চুইট টাইপ একটা লেখা লিখেন, প্রফেসরের রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড, পাব্লিকেশন আর আপনার ইন্টারেস্ট নিয়া। ইমেইলের সুন্দর একটা সাবজেক্ট দিতে হবে। সাবজেক্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি নিজেও, সাবজেক্ট দেখে বিচার করেন, কোনো ইমেইল পড়বেন কি, পড়বেন না। আমার ধারণা, এই দেশের দুপুর বেলায় মেইল দিলে পড়ার চান্স বেশি থাকে। আবার প্রফেসরের ক্লাস কখন সেটা আপনি সহজেই তার ওয়েবসাইট ঘেটে বের করতে পারেন। ক্লাসের আগে মেইল না দেয়াই ভালো।

৪.
তবে প্রফেসরের সাথে আগে রিসার্চ ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলবেন তারপর ফান্ড নিয়ে। আর আপনি USA আসার পর হাল্কা কৌশলে চাইলে প্রফেসর চেঞ্জ করে ফেলতে পারেন। অনেকেই করে। তবে সেটা সাবধানে, আগের প্রফেসরকে না জানিয়ে করতে পারেন। তাই SOP তে প্রফেসরের নাম উল্লেখ করবেন না। যদি সে দিতে বলে তাইলে অন্য কথা। রিসার্চ, পাবলিকেশনের সংখ্যা, স্টুডেন্ট এর সংখ্যা দেখলে আপনিই আন্দাজ করতে পারবেন কার কাছে ফান্ড কেমন আসে। তা না হলে, সব ভার্সিটিতেই বুয়েটের বা বাংলাদেশের কেউ না কেউ আসে। ওদের কাউরে জিগ্যেস করলে, সেই ইনফরমেশন জোগার করতে পারবেন। আমার মত ফাকিবাজ হইলে, চিঙ্কু আর কোরীয় এডভাইজার এড়ায় চলবেন। তারা ফান্ড দিবে, বিনিময়ে আপ্নার লাল সুতা বের করে ফেল্বে। তারপরেই আছে, ভারতীয় এডভাইজার। আর সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বুড়া এমেরিকান প্রফেসর যে কোনোরকমে ডিগ্রী প্রদান করে, আপনাকে স্মাইলি ফেইস দিবে।

৫.
পাত্তিওয়ালা বাপ বা শ্বশুর থাকলে, প্রফেসরকে তেল দিয়ে সময় নষ্ট করার কি দরকার। যেখানে খুশি চলে যান। তবে বাপের টেকা নাই, প্রফেসরের ফান্ড নাই, তাগো জন্য টেক্সাসের হিউস্টন, লামার বা আসেপাশে স্বর্গ আছে। লোকে বলে টেক্সাসের কচুক্ষেতেও নাকি অড জব করে ভালোই থাকা যায়। গ্যাসস্টেশন, ছোট স্টোর কিংবা মোটেল, আরো কত কি। রুটিরুজির অভাব হবে না। তবে ধরা খাইলে, ডাইরেক্ট গুলিস্থান পাঠায় দিবে। আপনারে টিকেটও কাটা লাগবে না। হেরাই নিজ দায়িত্বে প্লেনে উঠায় দিবে।

৬.
খুব ভালো ভার্সিটি পিএইচডি করতে গেলে, সাধারনত সারাদিন ইয়া ডিশুমাই ডিশুমাই করতে করতে আপনার জান তেজপাতা হয়ে যাবে। অনেক ফাইটিং, অনেক কম্পিটিশন। অসম্ভবকে সম্ভব করা যদি আপনার কাজ না হয় তাইলে, টপ টেন থেকে দুরে গিয়া মরেন। আর মাঝারি মানের ভার্সিটিতে মাস্টার্স এ ফান্ড পাওয়া যায় অনেক সময়। পুরা না পাইলেও আংশিক কিছু পাবেন। বাকি অংশের জন্য হয়, বাপের কাছে হাত পাততে পারেন। নতুবা, অনেক ভার্সিটিতে, টিউশন ফি না দিলে কিছু ইন্টারেস্ট যোগ করে। পরে চাকরি পাইলে শোধ করে দিলেন। অথবা, অনেক সময় সাহস করে চলে আসলে, অনেক প্রফেসরের কাছে ফান্ড পাওয়া যায়। প্রথম সেমিস্টার থেকেই। বা এক সেমিস্টার পরেই। ভারতীয়রা অনেক সময় দেশ থেকে লোন নিয়ে চলে আসে। তারপর একরুমে, ১০ জন করে থাকে। এবং কেম্নে কেম্নে ফান্ড জোগার করে ফেলে। আর আপনার যদি USA সিটিজেন কেউ থাকে লোন এ সাইন করবে, তাইলে আপনি লোনও পেতে পারেন। আর পকেট খরচ একটু চেষ্টা করলে, ক্যাম্পাস জব করে মেটাতে পারবেন। ক্যাম্পাসে ডাইনিং সার্ভিস, ফুড কোর্ট, বুকস্টোর, লাইব্রেরি, IT হেল্প ডেস্ক, আন্ডারগ্রেড টিউটর বা ম্যাথ, ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট এর কাজ, অনেক কিছু আছে। এবং ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রেই ভারতীয়রা নিজেদের লোকদের ঢুকায় নেয়। তাই ওগো লগে খাতির করে স্বার্থ উদ্ধার করতে পারেন।

৭.
আমার মতে, বনে জঙ্গলে মাঝারি মানের ভার্সিটির চাইতে বড় সিটির ছোট ইউনিভার্সিটি ভালো। চাকরি বাকরি, ইন্টার্ন বা অড জব পাওয়ার জন্য। অন্তত বড় সিটির ২০০ মাইলের মধ্যে হইলেও সমস্যা নাই। তবে সমস্যা হচ্ছে, লিভিং এক্সপেন্স বেশি হবে। রেন্ট অনেক বেশি হবে। টু পাইস কমাবা, খরচ করবানা, তা কেম্নে হয়। আর ঘাটের পয়সা দিয়ে পড়তে হলে, বড় সিটির ছোট ভার্সিটি টিউশন ফি কম হবার চান্স আসে। আর যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার ওয়েদার নিয়ে বেশি চিন্তা করার কিছু নাই। খুব বেশি ঠান্ডা বা খুব গরম নিয়ে বেশি মাথা ব্যথা কারার দর্কার নাই। ঐখানে লোকজন তো বেচে আছে। আমি গেছিলাম নর্থ ডেকোটা, অনেক চ্যালেঞ্জিং ওয়েদার , তো কি হইছে। ফান্ড পাইছি, চলে গেছি। পরে চাকরি পেয়ে শিকাগো চলে আসলাম।

৮.
ইউনিভার্সিটি এর শর্ট লিস্ট করবেন ২০টা। কোন জায়গায় সিনিয়র কেউ গেছে। কোথায় ফান্ড দেয় মাস্টার্সে (যদি মাস্টার্স) করতে চান। তারপর যোগাযোগ করবেন সবগুলাতে। সেখান থেকে ১০ টা এর খোজখবর ভালো করে নিবেন। আর ৫/৬ তা উনিভার্সিটি এপ্লাই। তারমধ্যে দুইটা হবে খুবই লোয়ার কোয়ালিটির। দুইটা মাঝারি কোয়ালিটির আর ১/২তা টপ ক্লাস। এমন একটা ভাব যে, ঐ ভার্সিটি রে খয়রাত হিসেবে কিছু দান করে দিলেন। থিসিস আর নন থিসিস মাস্টার্স নিয়া বেশি চিন্তা করার দরকার নাই। নন থিসিসে ৩ ক্রেডিটের একটা কোর্স করলেই চলে। হাল্কার উপ্রে ঘসা মাইরা ছাইড়া দিবে। থিসিসে খাটাবে কিন্তু। তবে পিএইচডি করা যদি আপনার লক্ষ্য হয় তাইলে থিসিস নিয়ে মাস্টার্স করাই বেটার।

৯.
সাধারনত একাডেমিক ইয়ার শুরু হয় আগস্ট মাসে, তাই ফল সেমিস্টারে অর্থাৎ আগস্ট মাসে ফান্ড বেশি থাকে। উইন্টারে অনেক কম। সামারে নাই বল্লেই চলে। তবে আমি আসছিলাম উইন্টার। আর ওরা যত খরচ দেখাবে, থাকা খাওয়ার ব্যাপরে তার ৬০-৭০% ই আপনার লাগবে না। তবে টিউশন ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি কিন্তু যা বলছে তাই ঠিক থাকবে। আর যারা ফান্ড পেয়ে আত্নহারা হয়ে যান। তাগোরেও ফান্ড থেকে একটা ভালো অংশ স্টুডেন্ট ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, হেলথ ইন্সুরেন্স হিসেবে দিতে হবে। কইলজা ছিড়া যাবে, তবুও কিছু করার নাই, দিয়া দিতে হবে।

১০.
আপনার যখন I-20 রেডি হবে, তখন মাক্সিমাম পোলাপান এক মাস বসে থাকে, I-20 এর জন্য অপেক্ষা করতে করতে। কারণ সব ইউনিভার্সিটি সাধারণ মেইলে পাঠাবে। আপনি বল্লেও FedEx বা DHL এ সেন্ড করবে না। সেজন্য আমি কি করছিলাম? আমার ভার্সিটিতে একজনরে খুঁজে বের করছিলাম, তার পর ইন্টারন্যাশনাল অফিস (যারা I-20 দিবে) কে বলছিলাম, যে ওরা যাতে I-20 সেন্ড না করে। আমার ফ্রেন্ড গিয়ে অফিস থেকে নিয়া আসবে। তারপর, সেই একজন বাংলাদেশে FedEx দিয়া সেন্ড করে দিছে আর আমারে বলছি স্ক্যান করে এককপি ইমেইল করতে। পরে এই স্ক্যান করা কপি নিয়া সায়মুম সেন্টারে গিয়া ভিসা ইন্টারভিউর ডেট নিয়া নিছি। FedEx চিঠি ট্র্যাক করা যায়। পরে যেদিন ইন্টারভিউ ঠিক করছিলাম তার আগের দিন আমার হাতে এসে I-20 পৌছছে।

১১.
দুই একটা রেয়ার কেইস ছাড়া ভিসা দিয়া দিবে। হয়তো কয়দিন সিকুরিটি চেক দিয়া বসায় রাখবে, আর কিছু না। আমার ফ্রেন্ডকে রিজেক্ট করছে, তার মায়ের একাউন্টে টাকা ছিলো। কাউন্সিলর জিগ্যেস করছে, তোমার মা যে তোমারে টাকা দিবে তার গ্যারান্টি কি? সে তো আকাশ থেকে পড়ছে। টেনেটুনে কিছু বলার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভিসা দেয় নাই। দুই সপ্তাহ পরে, সেই টাকা নিজের একাউন্টে নিয়া আবার দাড়াইছে, পরে ভিসা দিয়া দিছে। আমার প্রায় ২২০০ ডলারের মতো দেখানোর দর্কার ছিলো। এই পরিমান টাকা কোনো সেভিং একাউন্টে থাকা দর্কার। আমারতো সেই টাকা নাই। শেষ পর্যন্ত একজনরে খুঁজে পাওয়া গেছে, যে আমার আপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতার পরিচিত একজন। মিরপুরে বাড়ি করার জন্য তার একাউন্টে প্রায় চার লক্ষ টাকা আছে। আমি ওইবেটারে চাচা বানালাম। আর আমারেও কাউন্সিলর জিগ্যেস করছে, তোমার চাচা তোমারে টাকা দিবে কেনো। আমি বল্লাম, “চাচা চায় তার মেয়ের জামাইয়ের একটা আমেরিকান ডিগ্রী থাকবে। এইটা একটা সোশাল স্টেটাস।” বেটা হেসে দিয়ে বল্লো, “গুড লাক” পরে জানা গেলো ওই স্পন্সর চাচা আসলে দাদার বয়সী আর তার তো মেয়ে নাই ই নাই, নাতনীও নাই। কি যে পোড়া কপাল। তবে প্রতিবেশী আছে কিনা খোজ খবর নেয়া উচিত ছিলো। ভুল অইয়া গেছে গা।

১২.
আপনার কোনো ইনফরমেশন লাগলে ফেসবুকে সার্চ দিয়ে কোনো ইউনিভার্সিটির কাউরে ইজিলি খুঁজে বের করতে পারেন। তাছাড়া অনেক ফেসবুক গ্রুপও আছে। সেখানে প্রশ্ন পোস্ট করতে পারেন। যদি, তেমন সাড়া শব্দ না পান। তাইলে প্রোপিক টা চেঞ্জ করে কোনো সুন্দরী মেয়ের পিকচার দিয়া দেন। দেখবেন উত্তরের বন্যা শুধু কমেন্টে না ইনবক্সেও চলে আসছে।

তবে একট কথা মনে রাখবেন। আপনি যত বড় ম্যানেজার স্যার থাকুন না কেনো। যত পরিমান মাসিক বেতন পান না কেনো, আপনাকে আবার শুন্য থেকে শুরু করতে হবে। আবার সেই স্টুডেন্ট লাইফ। ল্যাবে যাওয়া, এসাইনমেন্ট করা। প্রফেসরের ঝাড়ি, চাকরি বা ফিউচারের হাতছানি সব। আর সবচেয়ে বেশি বুঝবেন, যখন দেখবেন হোক ঈদ, হোক পহেলা বৈশাখ বা ২১ এ ফেব্রুয়ারী। সবই আরেকটা অফিসিয়াল কাজের দিন। যেখানে কোনো সাজ নাই, আমেজ নাই। আপনাকে আরেকবার স্টুডেন্ট লাইফ শুরু করতে হবে। যেটা আন্ডারগ্রাড করার সময় আপনি করছিলেন।

এমআরআর/2015