Home / শীর্ষ সংবাদ / ঈদে চাঁদপুর হয়ে উঠে যানজটের শহর : প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি
Chandpur-Janjot
ফাইল ছবি

ঈদে চাঁদপুর হয়ে উঠে যানজটের শহর : প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি

আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম সপ্তহ শেষ। আর ক’দিন পরেই মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতিবছরই দূর-দুরান্ত থেকে জীবিকার প্রয়োজনে ব্যস্ত থাকা মানুষগুলো নাড়ির টানে ফিরে আসেন নিজ গ্রামের বাড়ি। ফলে ঈদ এলেই বাড়তি মানুষ আর যানজটে নাকাল হয়ে উঠে সিকি কোটি মানুষের প্রিয় শহর চাঁদপুর।

প্রতি বছরই রমজান এলেই বাড়তি মানুষের চাপে চাঁদপুর শহর হয়ে উঠে যানজটের শহর। ঈদের কেনাকাটা আর নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের চতুর্মুখী চাপে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে প্রচীণ এই শহরটি। ফলে শহরবাসীকে পড়তে হয় যানজট নামের ব্যধির বোগন্তির মুখে। তাছাড়া অতিরিক্ত সিএনজি-আটোরিক্সা আর রাস্তার দু’পাশে ভ্যান গাড়িতে ভ্রাম্যমান হকারদের উৎপাত এই ভোগান্তি আরো চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। সাধারণ মানুেষর এই ভোগান্তি কিছুটা হলেও সহনীয় রাখতে নগর কতৃপক্ষ এবং জেলা স্কাউট ব্যবস্থা নিলেও এবছর এখন পর্যন্ত তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তবে প্রশাসন থেকে অবৈধ জানবাহন চলাচল বন্ধে একাধিক অভিযান চালাতে দেখা গেছে।

চাঁদপুর জেলার ট্রেন স্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাস স্টেশনগুলো অনেকটাই শহরের প্রানকেন্দ্রর কাছাকাছি। ফলে সারা বছর দেশের প্রচীণতম ছোট্ট এই শহরটিতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। চাঁদপুর থেকে দেশের উল্লেখযোগ্য জেলাগুলোতে যোগাযোগ সহজ হওয়া এবং ট্রেন স্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাস ষ্টেশন কাছাকাছি থাকার ফলে প্রতিদিন প¦ার্শবর্তী জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে। এটিও এই শহরে মাত্রারিক্ত যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে চিনহ্নিত করেছে সচেতন মহল।

এদিকে একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুর শহরে এখনো প্রায় সহ¯্রাধিক লাইসেন্স বিহীন সিএনজি আটো-রিক্সা অবৈধবাবে চলাচল করছে। এসব সিএনজি আটো রিক্সাগুলোর মালিকরা ট্রাফিক পুলিশকে মাসিক মাসোয়ারা দেয়ার মাধ্যমে রাস্তায় চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া ছোট্ট এই শহরটিতে ধারন ক্ষতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি সিএনজি, অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটোবাইক চলাচলের লাইসেন্স দেয়ায় নগর কতৃপক্ষের প্রতি শান্তিপ্রিয় শহরবাসীর কিছুটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

অপরদিকে শহরের কালিবাড়ি, শপত চত্বর, শহীদ মিনার প্রাঙ্গন, ছায়াবানির মোড়, চিত্রলেখা মোড়, পালবাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুত্বপূর্নস্থানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রি উঠা নামা করাও যানজটের অন্যতম আরেকটি কারন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

শুক্রবার ৮ রমজান (২৫ মে) ছুটির দিনেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে যানজট দেখা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি যানজট দেখা যায়, শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের হকার্স মার্কেট থেকে শুরু করে ছায়াবানী মোড় এবং গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মহিলা কলেজ সড়ক পর্যন্ত । এছাড়া শপথ চত্ত¡র থেকে কালিবাড়ি হয়ে পাল বাজার গেইট পর্যন্ত এই যানজট দৃশ্যমান ছিলো।

পূর্বের ন্যায় এবছরও ঘরমুখো মানুষের চলাচল শান্তিপূর্ণ রাখতে এবং যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং নগর কতৃপক্ষক বিভিন্ন সভা সেমিনারে জানায়, শহরকে অবশ্যই যানজট মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং ঈদ মার্কেট করতে আসা প্রত্যেক ক্রেতাদের বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এখন শহরবাসীর দাবি লাইসেন্স বিহীন অবৈধন যানবাহন আটক করার পাশাপাশি শহরের যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করাসহ চুরি-ছিনতাইরোধে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং পৌর মেয়রের দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন শহরবাসী।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম

Leave a Reply