Home / চাঁদপুর / ঈদে চাঁদপুরের সব লঞ্চ ইচলী ঘাটে যেতে হবে : এসপি শামসুন্নাহার
SP-Samsunnahar

ঈদে চাঁদপুরের সব লঞ্চ ইচলী ঘাটে যেতে হবে : এসপি শামসুন্নাহার

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের প্রস্তুতিমূলক সভা রোববার (৩ জুন) সকাল ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম এর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় চলমান মাহে রমজান এবং আসন্ন ঈদে উপলক্ষে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরো জোরদার করা, শহরের অভ্যন্তরে লঞ্চ যাত্রীদের চাপ কমাতে ইচলি ঘাটে লঞ্চ চলাচল নিশ্চিত করা, লাইসেন্স বিহীন যানবাহন চলতে না দেয়া, ঈদ ঘীরে পুলিশের বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে কাজ করা ইত্যাদি।

সভায় বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ সার্কেল আফজাল হোসেন, নৌ পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, জেলা ক্যাব সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শোয়েবুর রহমান, লঞ্চ মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার, চাঁদপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ ওয়ালী উল্লাহ অলি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নাছির উদ্দিন, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মমিন মিয়া, ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি নাজমুল পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মন্টু।

পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বলেন, চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদী অতিক্রম করে সকল লঞ্চ ইচলী ঘাটে যেতে হবে। সেখানে যদি পন্টুন না থাকে বিআইডবিøউটি তা স্থাপন করতে হবে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ, নৌ থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

কোনভাবেই শহরে লাইসেন্স বিহীন অটোরিক্সা চলাচল করতে পারবে না। এমনকি অন টেস্ট কোন গাড়ী চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। চাঁদপুর ট্রাক ঘাটে রাস্তার উপর ইট-বালি রেখে ব্যবসা করা হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এই স্থান থেকে ইট-বালি ব্যবসা সরিয়ে নিতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন।

ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুরে ও চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেছ মোড় এলাকায় ট্রাক চলাচলে এক শ্রেণির মানুষ ৪০ টাকা ও তার উর্ধ্বে চাঁদা আদায় করছে। তার প্রতি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

ঈদে চাঁদপুর হয়ে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করে থাকে। এখানে নৌ পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশকে পাওয়া যায় না। ঈদ উপলক্ষে এ স্থানে মলম পার্টির উপদ্রæব বৃদ্ধি পায়। এজন্য এমকল স্থানে পুলিশের বিভিন্ন স্তর থেকে একটি টিম গঠন করে ঈদের পূর্বের ৭ দিন ও পরের ৩ দিন সহ মোট ১০ দিন স্থায়ীভাাবে দায়িত্ব পালন করবে।

চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যেসব ছোট যানবাহন প্রবেশ করে তা থেকে বিআইডবিøউটিএ চাদা আদায় করে থাকে। তাই গাড়ী চালকদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন রিসিট না পেলে লঞ্চ ঘাটে কাউকে টাকা দিবেন না। কোন লঞ্চ চালক বাস ও ট্রেন আনাড়ী লোকদের নিয়ে পরিবহন চালানো যাবে না। তাতে করে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে। তাই দক্ষ চালক দিয়ে পরিবহনগুলো চালাতে হবে।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম

Leave a Reply