ইসলাম

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদ-উল-আজহা বা কুরবানির ঈদ। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো কুরবানি। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালিত হয়। সে হিসেবে আগামীকাল ১৩ সেপ্টেম্বর ১০ জিলহজ পবিত্র কুরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

হজের মাসে আত্ম-ত্যাগের এ ঈদ মুসলিম উম্মাহর সকল পশুত্বকে নির্মূল করে। মানুষ কুরবানির ঈদের নামাজ সকাল সকাল আদায় করেন। কারণ ঈদের নামাজের পরেই কুরবানির ঈদের মূল কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি করতে হয়।

বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। তাই মুসলিম উম্মাহর সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

>> ঈদের নামাজ দুই রাকাআত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং তা জামাআতে আদায় করতে হয়।
>> ঈদের দুই রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়ে।

প্রথম রাকাআত
আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে ঈদ-উল-আজহার দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সাথে ইমামে পিছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়।
প্রথমেই- তাকবিরে তাহরিমা- ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাধবেন।

ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বে-

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাধবেন।

অপঃপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু, সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু সিজদা করবেন।

দ্বিতীয় রাকাআত

ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিন তাকবির প্রথম রাকাআতের মতোই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করবেন।

এ নিয়মে ঈদ-উল-ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইক্বামাতেরও প্রয়োজন হয় না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দরভাবে ঈদের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৭:২২ পিএম,১২ সেপ্টেম্বন ২০১৬ সোমবার
এইউ

Share