পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জালনোট, মলম পার্টি, প্রতারক ও ছিনতাইকারী চক্র। এরইমধ্যে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের টার্গেট করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা।
এমনকি লাখ লাখ টাকার জাল নোট নিয়েও মাঠে নেমেছে একটি প্রতারক চক্র।
সাধারণত ঈদ এলেই জাল নোট, প্রতারক চক্র, মলম পাটি ও ছিনতাইচক্রের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষজনকে প্রতারণা নানা কৌশলে ধোকা দিয়ে নগদ অর্থ, স্বর্ণলংকার, মোবাইল সেট অথবা প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়েই চম্পট দেয়ার টার্গেটে থাকে তারা।
এবার ও ঈদুল অযহাকে সামনে রেখে এ ধরনের কয়েকটি চক্র শহরের বিভিন্ন স্থানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ধরনের এক ঘটনায় গত ১৬ আগস্ট চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ইকবাল হোসেন নামের এক যুবককে ১ লাখ ৩০ হাজার জাল টাকার নোটসহ আটক করে।
এর আগের ১৫ আগস্ট রাতে নাঈম নামের এক পুলিশ সদস্য শপথ চত্বর এলাকা থেকে দু’জন ছিনতাইকারীকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করে।
এছাড়াও সপ্তাহখানেক পূর্বে মলম পার্টি চক্র বৃদ্ধকে বাসের মধ্যে নেশা মি¤্রতি খাবার খাইয়ে নগদ ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধকে প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
শনিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা থেকে আগত কয়েকজন লঞ্চযাত্রী জানান, তারা যখন ঢাকা থেকে লঞ্চ করে চাঁদপুরে আসছিলেন তখন মুন্সিগঞ্জের কাছে ছিনতাইকারীদের একটি চক্র যাত্রীদের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও শহরের বিভিন্নস্থানে একাধিক ব্যক্তিকে মলম পাটির খপ্পরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন চাঁদপুরের ওপর দিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার জন্য আসতে শুরু করেছে। অনেকে গভীর রাতেও একা কিংবা পরিবার পরিজন নিয়ে রাত করে তাদের গন্তব্যে ছুটতে হয়।
তাই এসব যাত্রীদের নিরাপত্তায় শহরের বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতনমহল।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি