Home / চাঁদপুর / বাড়ছে চাঁদপুরের নোনা ইলিশের চাহিদা : রফতানি হচ্ছে ডিম
ইলিশের

বাড়ছে চাঁদপুরের নোনা ইলিশের চাহিদা : রফতানি হচ্ছে ডিম

ইলিশের মৌসুমে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ মাছ আমদানি হয়। আমদানিকৃত এসম মাছ অনেক সময় নদীতে জেলেদের নৌকায় বেশ কয়েকদিন সংরক্ষণ করে রাখে। বরফ ও মাছের চাপ এবং পরিবহনের সময়ও কিছু মাছ নরম হয় ও পচে যায়। আর এব ইলিশ এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা অল্প মূল্যে ক্রয় করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে থাকেন।

বর্তমানে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে শুরু হয়েছে নরম ও পচা ইলিশ লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ। লবন ইলিশ বা নোনা ইলিশ বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করছেন কোটি কোটি টাকা। ইলিশের মৌসুম না থাকা এবং নদীতে ইলিশ না পাওয়া গেলে ওই সময়ে ব্যবসায়ীরা নোনা ইলিশ বিক্রি করেন। দেশের উত্তর বঙ্গসহ বিভিন্ন জেলায় এই মাছের চাহিদা ভালো থাকায় বেশ লাভবানও হচ্ছেন তারা।

এদিকে নোনা ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুরের ইলিশের ডিম অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। চাঁদপুর থেকে অনলাইন এবং চট্টগাম থেকে রফতানির মাধ্যমে দুবাই, সৌদি আরব, মালেশিয়া, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। নরম ও পচে যাওয়া ইলিশের ডিম প্লাস্টিকের বক্সে করে সংরক্ষণ করা হয়। আর বাক্সের ইলিশের ডিম বিভিন্ন জেলাসহ চলে যায় বিদেশে। কেজি প্রতি ইলিশ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকা।

ইলিশের

শেরপুর থেকে আসা নোনা ইলিশ পক্রিয়াজাতকরণের শ্রমিক আলাল উদ্দিন ও আবদুল মালেক বলেন, প্রথমেই ইলিশের পেট থেকে ডিম আলাদা করে ফেলে। এরপর ইলিশ মাছটি ফালি ফালি করে কেটে ভালোভাবে লবন দেওয়া হয়। লবন দিয়ে ৮-১০ দিন রেখে দেওয়া হয়। সবশেষ লবন মিশ্রিত পানির ড্রামে রেখে সংরক্ষণ করা হয়।

আরও পড়ুন…  চাঁদপুরে ভরা মৌসুমেও পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ নেই

নোনা ইলিশ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিবছর ইলিশের মৌসুমে চাঁদপুরে আসি। এই সময়ে ইলিশের আমদানি ভালো হয়। ঘাটে আসা নরম পচা ইলিশ কিনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করি। এভাবে সংরক্ষণ করে প্রায় একবছর পরেও এই ইলিশ বিক্রি করা যাবে। যখন ইলিশের আমদানি কম থাকে, তখন নোনা ইলিশ ৪০০-৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়। আর ইলিশ সৃজনে ২০০-৩০০ টাকা বিক্রি হয়। মূলত আমরা ননসৃজনে এসব নোনা ইলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকি। আর ইলিশের ডিমগুলো বক্সে করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের মৌসুমে হাজার হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়। ওই সময় কিছু মাছ নরম ও পচে যায়। আর সেই ইলিশ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা কিনে লনব দিয়ে সংরক্ষণ করেন। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার কিছুটা ইলিশের আমদানি কম। যার কারণে তেমন নোনা ইলিশ সংরক্ষণ হচ্ছে না। নোনা ইলিশ বিদেশে রফতানি না হলেও ইলিশের ডিম বিদেশে রফতানি হয়ে থাকে। মূলত এখন দেশে ইলিশের ডিম প্রচুর চাহিদা থাকায় বিদেশে রফতানি কম হচ্ছে।

প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম, ১৮ আগস্ট ২০২১