Home / জাতীয় / ইলিশের উৎপাদন ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে
ইলিশের উৎপাদন

ইলিশের উৎপাদন ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে

২০০৪-০৫ থেকে ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত দেশে ইলিশের উৎপাদন সাড়ে তিন শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ২০১৫ সালের পরে ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত এ উৎপাদন বৃদ্ধি ৯ শতাংশে এসে ঠেকেছে।

মৎস্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২১১ মেট্রিকটন। এরপর চার বছরে উৎপাদন বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।

অন্যদিকে এক দশকের বিবেচনায় এ সমযয়ে উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। ২০০৮-০৯ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল দুই লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন।

মৎস্য অধিদফতর বলছে, বিগত অর্থবছরের ইলিশের উৎপাদনের পরিমাণ এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে উৎপাদন সাড়ে পাঁচ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে জাটকা ধরা বন্ধ এবং নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরা বন্ধ করার কারণে ধারাবাহিকভাবে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। শুধু তাই বেশি ওজনের ইলিশও এখন পাওয়া যাচ্ছে।

মা ইলিশ রক্ষায় সরকার প্রজনন মৌসুম চিহ্নিত করে ২২ দিন ইলিশ শিকার, আহরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া আট মাস জাটকা নিধন এবং ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকছে। এই সবকিছুর প্রভাব পড়েছে উৎপাদন বৃদ্ধিতে।

মৎস্য অধিদফতরের ইলিশ ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি বলেন, প্রজনন মৌসুমে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ থাকে। সরকারের দিক থেকে এ বিষয়ে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য উদ্দীপনামূলক প্রচারাভিযান চালানো হয়। জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, পাশাপাশি নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরা ঠেকাতে জোরাল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি জেলেদেরও মানসিকভাবে এই কার্যক্রমে যুক্ত করে উপকূলীয় এলাকায় প্রচারকাজ চালানো হয়। সবমিলিয়ে জেলেরাই নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিরত থাকছেন। এসব কারণে গত কয়েক বছরে উৎপাদন যেমন বেড়েছে, দামও কমেছে। যা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে।

এছাড়া সাগর ও নদ-নদীতে ধরা পড়া ইলিশের গড় ওজন গত তিন বছরে ৩৫০ গ্রাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদফতর।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,৬ জানুয়ারি ২০২১