Home / বিনোদন / ইন্দ্রাণীর প্রস্রাবের সাথে নিষিদ্ধ মাদক
ইন্দ্রাণীর প্রস্রাবের সাথে নিষিদ্ধ মাদক

ইন্দ্রাণীর প্রস্রাবের সাথে নিষিদ্ধ মাদক

ভারতের শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন কারাগারে। তবে অসুস্থতা নিয়েই রহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার শরীরে নিষিদ্ধ কোকেন রয়েছে। পরীক্ষার পর রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে হিন্দুজা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে প্রায় একমাস ধরে জেলে বন্দি মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ১ অক্টোবর জেলের মধ্যেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের জে জে হাসপাতালে। সেখানে ইন্দ্রাণীর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। এর মধ্যে প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টেই সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে পরিষ্কার লেখা রয়েছে- ইন্দ্রাণীর প্রস্রাবের নমুনায় কোকেন মিলেছে।

ইন্দ্রাণীর প্রস্রাবের সাথে নিষিদ্ধ মাদক

কিন্তু এই রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, জেলে বন্দি ইন্দ্রাণীর কাছে কোকেন পৌঁছল কোথা থেকে? কেউ কি তার কাছে এই মাদক সরবরাহ করছে? শুধু কোকেনই নয়। হাসপাতালের রিপোর্টে আরো কয়েকটি তথ্য রয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ইন্দ্রাণীর শরীরে অ্যাম্ফিটামাইনস নামে একটি রাসায়নিক মিলেছে। অ্যাম্ফিটামাইনস অনেক দেশে নিষিদ্ধ মাদকের তালিকাভুক্ত।

পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর প্রস্রাবের নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে মিলেছে বেনজোডায়াজিপাইন। যা ব্যবহার করা হয় অবসাদ কাটানোর ওষুধ তৈরিতে। কেউ অবসাদ কাটানোর ওষুধ খেলে তার শরীরে বেনজোডায়াজিপাইনের মাত্রা থাকে ২০০ এর আশেপাশে। কিন্তু হাসপাতালের পরীক্ষায় ইন্দ্রাণীর শরীরে বেনজোডায়াজিপাইনের মাত্রা ছিল ২০৮৮! নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে সেই ওষুধই বা তিনি পেলেন কোথা থেকে?

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫, রবিবার

ডিএইচ/২০১৫।