Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / বিনা অপরাধে ভাড়াটে জেল খাটা কচুয়ার ইউসুফ লিমনকে মুক্তির নির্দেশ
ইউসুফ

বিনা অপরাধে ভাড়াটে জেল খাটা কচুয়ার ইউসুফ লিমনকে মুক্তির নির্দেশ

সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন ইমরান খানকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রকৃত আসামির বিপরীতে বিনা অপরাধে ভাড়াটে হিসেবে সাত মাস ধরে জেল খাটা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সন্তান ইউসুফ লিমনকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ইউসুফের মুক্তির জন্য করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ৩ জুন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

ইউসুফের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম সরদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ইউসুফের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা থাকায় এখনই মুক্তি মিলছে না তার।

জানা যায়, নারীদের ব্যবহার করে বিত্তশালীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করছিল একটি চক্র। এই চক্রের কবলে পড়েন সিআইডির উপপরিদর্শক মামুন ইমরান। তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে গাজীপুর বনে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ঢাকার বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই মামলা করেন। পরের বছরের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শুরু হয়।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ অবস্থায় মামলার ৬ নম্বর আসামি পলাতক রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় সেজে চাঁদপুরের কচুয়ার আইনপুর গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে মো. আবু ইউসুফ লিমন গত বছরের ২০ অক্টোবর ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নুরুজ্জামান কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আর রবিউল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার আশুতিয়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, ইউসুফ রাজধানী মিরপুর ২ নম্বর সেকশনে এক মেসে ভাড়া থাকতেন। সিটি ক্লাবে ক্রিকেট খেলা শিখতেন। সেখান থেকে রবিউলের সঙ্গে পরিচয় ইউসুফের। রবিউলের প্রলোভনে পড়ে আদালতে ভাড়াটে হিসেবে আত্মসমর্পণ করেন ইউসুফ।

দীর্ঘদিন ছেলের খোঁজখবর না পেয়ে আবু ইউসুফের বাবা গত ১৪ জানুয়ারি কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন তার ছেলে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৪ জুন ২০২১