Home / বিশেষ সংবাদ / আমাকে নির্জনে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয়, অতঃপর..
আমাকে নির্জনে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয়, অতঃপর..

আমাকে নির্জনে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয়, অতঃপর..

এক নারী টিকাদান কর্মীকে নিজের বাড়িতে পরিদর্শনের জন্য ডেকে আনেন এক যুবক। বাচ্চার টিকাদান শেষে ফেরার পথে নির্জন স্থানে তার পথ আটকায় ওই যুবকটিই।

এরপর কুপ্রস্তাব দিয়ে জোর জবরদস্তি শুরু করে। কিন্তু এতে বাধা দিলে ওই স্বাস্থকর্মীর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যুবক। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।

শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে ভাণ্ডারিয়া উপজেলোর ধাওয়া গ্রামে। আহত টিকাদান কর্মীকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তার করা হয়।

আহত স্বাস্থকর্মীর নাম ঝুমুর আক্তার(৩০)। তিনি ধাওয়া ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) পদে কর্মরত এবং পূর্ব ধাওয়া গ্রামের মহসীন উদ্দিন তালুকদারের স্ত্রী।

অভিযুক্ত বখাটের নাম শাওন খান(২৫)। তিনি একই গ্রাম পূর্ব ধাওয়ার রুহুল আমীন খানের ছেলে ও ৫৯ নম্বর ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি পদে কর্মরত।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রমতে, সকালে ঝুমুর আক্তার ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টিকাদান কেন্দ্রের কাজ শেষ করলে শাওন খান তাকে তার বাড়ি পরিদর্শনের অনুরোধ করেন। কাজ শেষে ফেরার পথে বাড়ির সামনের নির্জন স্থানে এলে দপ্তরি শাওন খান ওই নারীর পথরোধ করে কুপ্রস্তাব দেন। এরপর তাকে হয়রানি শুরু করেন। ঝুমুর বাধা দিলে শাওন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। এতে তার মাথা ও বাম হাতসহ শরীরের নানা স্থানে গুরুতর জখম হয়।

ঝুমুরের আর্ত চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে শাওনকে ধাওয়া করে আটক করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে জনতার কবল হতে অভিযুক্ত হামলাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ওদিকে, গুরুতর আহত ঝুমুরকে প্রথমে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তার করা হয়।

এ বিষয়ে ৫৯ নম্বর ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবু বকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি শাওন খানের বেপরোয়া আচরণসহ নানা অভিযোগে সম্প্রতি তার বেতন ভাতাদি স্থগিত করা হয়েছে। সে শনিবার স্কুলেও অনুপস্থিত ছিল।

ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৌরেন্দ্র নাথ সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝুমুর আক্তার টিকাদান কেন্দ্রে যাওয়ার পথে এ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, অভিযুক্ত বখাটেকে আটক করা হয়েছে। মামলা করা হচ্ছে। (বাংলামেইল)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৪:০০ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬, রোববার

ডিএইচ