খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনির-উজ-জামান বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া হবে। আমরা জানি কীভাবে দেশকে শাসন করতে হয়। যারা বাংলাদেশে পাকিস্তানি শাসন ব্যবস্থা আমদানি করতে চায় তাদের প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
সোমবার দুপুরে যশোর টাউন হল ময়দানে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন দিতে আসে, তাদের দেশে একজন মানুষ একসঙ্গে পঞ্চাশ জনকে হত্যা করলেও প্রতিরোধ করতে পারে না। তারা আবার এইদেশে শান্তি কায়েম করার কথা বলে।
কতিপয় জ্ঞানপাপী বাঁশ ও বাঁশি নিয়ে অপব্যাখ্যা করছে। তিতুমীরের আন্দোলন, ৭১র মুক্তিযুদ্ধ ও এ অঞ্চলের চরমপন্থী প্রতিরোধে জনতা বাঁশের লাঠি হাতে তুলে নিয়েছিল। অতীতে বাঁশের লাঠি সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জেলা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যানারে আয়োজিত এ মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
এতে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, খুলনার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, নড়াইলের পুলিশ সুপার খন্দকার রকিবুল ইসলাম, মাগুরা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
এছাড়াও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুন্ডু, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি আলী আকবর, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি হারুণ অর রশিদ, আশ্রম রোড শান্তিশৃঙ্খলা কমিটির নেতা ফারুক হোসেন ও ১নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নেতা হারুণ অর রশিদ ফুলু প্রমুখ।
আলোচনা শেষে সমাবেশ অংশগ্রহণকারীদের হাতে বাঁশের লাঠি ও বাঁশি তুলে দেন প্রধান অতিথি ডিআইজি মনির-উজ-জামান।(জাগোনিউজ)