চাঁদপুর

‘আমরা চাঁদপুরবাসী মা ইলিশ রক্ষা না করলে ব্র্যান্ডিং জেলার মূল্য থাকবে না’

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল মন্ডল বলেছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু হবে। বিগত বছরের থেকে এ বছর আরোও কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। মা ইলিশ রক্ষায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সরকার ইলিশের নামে চাঁদপুরকে ব্যান্ডিং জেলা হিসাবে ঘোষণা করেছেন। যদি আমরা চাঁদপুরবাসী মা ইলিশ রক্ষা করতে না পারি। তাহলে আমাদের ইলিশের নামের ব্যান্ডিং জেলার কোনো মূল্য থাকবে না।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মো. মাসুদ হোসেনের পরিচালনায় জেলা আরো বলেন, যে সকল এলাকাগুলোতে জেলেরা বেশি নদীতে নামে সেই সকল এলাকাগুলো কে চিহ্নিত করে প্রশাসনের নজরধারী বাড়ানো হবে। মা ইলিশ রক্ষায় পুলিশ, চেয়ারম্যান, মেম্বার যেই হোক। কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। নদীতে যে সকল জেলে এ বছর মা ইলিশ নিধন করবে। সে সকল জেলেদের আইনের আওতায় এনে লালকালি দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। আর তারাই সমাজ ও জাতির শত্রু।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘১ তারিখের আগে মা ইলিশ রক্ষায় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ জনগণকে সম্পৃক্ত করে সভা সমাবেশ করে আপনারা প্রচার-প্রচারণা করবেন। চর এলাকায় কিছু কিছু স্থানে অসাধু জেলেরা কারেন্ট জাল ফেলার চেষ্টা করে। সে স্থানগুলো চিহ্নিত করে নজরদারি রাখতে হবে। অভায়াশ্রম চলাকালিন সময়ে নদীতে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে জব্দ করে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে মা ইলিশ রক্ষায় এ বছর সকলে যার যার অবস্থান থেকে ভাল ভূমিকা রাখবেন। অভায়াশ্রম চলাকালীন সময়ে যদি কোন বরফ কল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা মৎস কর্মকর্তা একা কাজ করলে হবে না। অন্য কর্মকর্তাদেরও কাজ করতে হবে। মৎস কর্মকর্তারা ম্যাজিস্টেটদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তিনি মা ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হাই, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম হোসেন, মৎস্য গভেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান, কোস্টগার্ড সিপিও মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ, মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শাহ আলম বেপারী, নাছির চৌকদার, বিল্লাল হোসেন মাঝি, মাইনুল ইসলাম পাটওয়ারী, হাবিবুর রহমান দর্জি, মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, শাহনাজ আলমগীর, সদর উপজেলা কল্যানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী, তরপুরচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল, হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর ছাত্তার রাঢ়ী, রাজরাজেস্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল, নীল কমল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সর্দার, ৫নং হাইমচর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ১নং গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল গাজী, মতলব উত্তর ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম শরীফ উল্লাহ, মতলব দক্ষিন খাঁদেরগাও ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন রিপন মীর, জেলা মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মালেক দেওয়ান, জেলা কান্ট্রি ফিসিং বোর্ডের সভাপতি শাহ আলম মল্লিক প্রমুখ।

ক্যাপশান ॥ মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল মন্ডল।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: : আপডেট, বাংলাদেশ ০৯: ০৩ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Share