Home / চাঁদপুর / আবহাওয়া পরিবর্তনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চাপ
হাসপাতালের আউটডোর এবং ইনডোরে রোগীদের প্রচন্ড চাপ

আবহাওয়া পরিবর্তনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চাপ

আবহাওয়া পরির্তনের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আউটডোর এবং ইনডোরে রোগীদের প্রচন্ড চাপ দেখা দিয়েছে।

২১ মার্চ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগ হতে শুরু করে আউটডোরের বিভিন্ন চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে নারী পুরুষ এবং শিশু রোগীদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। এছাড়া হাসতালের শিশু ওয়ার্ড, পুরুষ ওয়ার্ড এবং মহিলা ওয়ার্ডেও প্রতিদিন বিভিন্ন রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা শহরে গত কয়েক দিনে হঠাৎ ঠান্ডা থেকে গরম আবহাওয়া পরিবর্তনের বয়োবৃদ্ধসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিন গরম এবং রাতে ঠান্ডা পড়ায় এমন আবহাওয়া পরিবর্তনেই বৃদ্ধ এবং শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

২১ মার্চ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচ তলার জরুরী বিভাগ, টিকেট কাউন্টার হতে শুরু করে নিচ তলা এবং দ্বিতীয় তলার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে চিকিৎসাসেবা নিতে রোগীরা প্রচন্ড ভিড় করে আছেন।

খবর নিয়ে জানা গেছে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে এসব রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত। তবে হাসপাতালে ভর্তিকৃত এবং আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে বেশির অধিকাংশ রোগী শিশু ও বৃদ্ধ।

হাসপাতালে

হাসপাতালের আউটডোর এবং ইনডোরে রোগীদের প্রচন্ড চাপ

দেখা গেছে রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় ঠেলে হেটে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিলোনা। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শিশু ওয়ার্ডে খবর নিয়ে জানা যায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে ১০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সর্বমোট ৭০ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিভাগে কর্তব্যরত নার্সরা।

এসব শিশু রোগীদের মধ্যে এক দেড় বছর বয়সী ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তারা। এর বাহিরে অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ সুজাউদদৌলা রুবেল এবং ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন, ‘হঠাৎ করে ঠান্ডা থেকে গরম। এমন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে বয়োবৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ, জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। তাই গত বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে শিশুসহ রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।’

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২২ মার্চ ২০২২