ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা সম্পন্ন হয়। এখান থেকে মরদেহ নিয়ে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের কুলখানি ৬ ডিসেম্বর বুধবার। সেদিন গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর তাঁর কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আর্মি স্টেডিয়ামে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, স্পিকার শিরীন শারমিনের পক্ষে ক্যাপ্টেন মোশতাক আহমেদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এবং সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই, বিকেএমইএসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
আজ শনিবার বেলা একটায় আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি (বিজি ০০২) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। আনিসুল হকের ছোট ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন মেয়রের একান্ত সচিব আবরাউল হাসান।
মেয়রের মরদেহের সঙ্গে দেশে এসেছেন তাঁর স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হক, দুই মেয়ে ওয়ামিক উমায়রা ও তানিশা ফারিয়াম্যান হক।
বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানীর বাসভবনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়ে মেয়রের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এ ছাড়া বিভিন্ন দলের নেতারা প্রিয় মানুষটিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
এরপর প্রয়াত এই মেয়রের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানকার চারটি ফটক দিয়ে হাজারো মানুষ সারিবদ্ধভাবে স্টেডিয়ামে ঢোকেন। একে একে সবাই মেয়রকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ আগস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁকে দীর্ঘদিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে মেয়রের শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁর কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মেয়রের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর তাঁ ফুসফুসও আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান মেয়র আনিসুল হক। (প্রখম আলো)
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:০০ পি.এম, ২ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার
এএস