Home / চাঁদপুর / আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো চাঁদপুর ইজতিমা
estema

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো চাঁদপুর ইজতিমা

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর মেঘনা তীরে প্রথমবারের মতো জেলা ইজতিমা শেষ হয়েছে। হেদায়েতি বয়ান,ধর্মীয় আলোচনা ও ইবাদতের মধ্যদিয়ে ৩ দিন কাটানো পর ২ ডিসেম্বর শনিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা হাফেজ মাওলানা জুবায়ের সাবেহ।

মোনাজাতে অতীতের সব ভুলের জন্য মহান আল্লাহ’র দরবারে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি দেশ ও জাতি সহ বিশ্বের সকল মুসলমাদের মঙ্গল কামনা করা হয়।

এসময় ইজতিমা মাঠ সহ আশপাশের এলাকাজুরে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে জেলা ও পাশ্ববর্তি জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মুসল্লি ইজতিমা মাঠে সমবেত হয়। আগত মুসল্লিরা যে যেখানে পেরেছেন সেখানেই দাঁড়িয়ে মহান মোনাজাতে অংশ নেয়।

এদিকে শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইজতিমার মাঠে আখিরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমনা গণি পাটওয়ারী,জেলা বিএনপির আহŸায়ক শেখ ফরিদ আমমেদ মানিক, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

ইতজিমা শেষে হওয়ায় বিভিন্নস্থান থেকে আগত মুসল্লিরা তাদের বাসা-বাড়িতে ফিরতে শুরু করে। এসময় মেঘনার পাড় ও রাস্তাগুলোতে যেনো মানুষের ¯্রােত বইতে থাকে।

প্রসঙ্গত,বিশ্ব ইজতিমার তত্ত্বাবধানে এ প্রথমবারের মতো চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার জাফরাবাদ এমদাদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মেঘনাপাড়ে ইজতিমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই এলাকার মেঘনা নদী তীরে ৪০ একর জমিতে ইজতিমার প্যান্ডেল তৈরির করা হয়েছে।

ইজতিমা মাঠে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথি সহ সকল মুসল্লিদের থাকার জন্যে আলাদা প্যান্ডেল ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ইজতিমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় র‌্যাব,ডিবি, ডিএসবি,সহ পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকের প্রায় ৩শ’৯০ জন আইন-শৃঙ্খলা সদস্য মাঠে রয়েছে।

বুধবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলা, পৌরসভার, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া-মহল্যা থেকে দল বেঁধে মুসল্লিরা নদী ও সড়ক পথে ইজতিমা মাঠে শরিক হন। এছড়াও জেলাই বাইরের থেকে এবং দেশের বাইরের ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মরক্ক, যুক্তরাজ্য থেকেও প্রচুর ধর্মপ্রাণ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন।

এতে করে জাফরাবাদ এলাকার মেঘনা নদী তীরে যেনো তিল ধারণের জায়াগা অবশিষ্ট ছিলো না। সবাই সেখানে অবস্থান করে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনে দুনিয়া ও আখেরাতের বয়ান শুনছেন।

আগত মুসল্লিরা জানায়, আমরা মহান আল্লাহ্’র মেহনত করতে এখানে এসেছি। আমাদের কোনো প্রকার কষ্ট হচ্ছে না। সবাই আল্লাহ্ আল্লাহ্, লা-ইলাহা ইল্লাললাহ্ জিকিরে মধ্যে মশগুল।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম,২ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার
এজি