আনসারের সর্বোচ্চ পদক পেলেন কচুয়ার কৃতি সন্তান মইনুল ইসলাম

সাহসিকতা এবং সেবামূলক কাজের জন্য ৮ ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৮০ জন সদস্য। এরমধ্যে ‘বাংলাদেশ আনসার পদক’ পেয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা কমান্ড্যান্ট কচুয়ার কৃতি সন্তান মো. মইনুল ইসলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ পদক তুলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ আনসার পদক পাওয়ায় মইনুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শরীয়তপুরে কর্মরত আনসারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বোচ্চ মর্যাদার পদক ‘বাংলাদেশ আনসার পদক’। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মো. মইনুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বাহিনীটির সর্বোচ্চ সম্মানজনক এই পদক গ্রহণ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার ৩০ তম ব্যাচে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে আনসার বাহিনীতে যোগদান করেন চাঁদুপরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের মজুমদার বাড়ির কৃতি সন্তান মো. মইনুল ইসলাম। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত আব্দুল জলিল মজুমদারের সুযোগ্য সন্তান। যোগদানের পর থেকে কর্তৃপক্ষের আদেশে বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন, জেলা, সদর দপ্তর ও র‌্যাব ফোর্সে অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততার সাথে পালন করেছেন তিনি। এসব দায়িত্ব পালন কালে তিনি ব্যাপক আভিযানিক, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন মূলক ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে পিস্তল উদ্ধারে সাহসিকতার সাথে ভূমিকা রেখে প্রশংসিত হোন মইনুল ইসলাম। একই বছর তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সেগুন কাঠ উদ্ধারে ভূমিকা রাখেন। এসবের পুরস্কার হিসেবে তিনি ২০১৫ সালেই সাহসিকতার জন্য ‘প্রেসিডেন্ট আনসার পদক’ লাভ করেন। বিচক্ষণ কর্মকর্তা মো. মইনুল ইসলাম তার এসব কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে বাহিনীটির সর্বোচ্চ মর্যাদার পদক ‘বাংলাদেশ আনসার পদক’ লাভ করেন। মইনুল ইসলাম বাংলাদেশ আনসার পদক পেয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরে বাহিনীর সকল কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক সদস্যসহ তাঁর নিজ জন্মস্থান চাঁদপুরের কচুয়ায় আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে পড়েন মানুষ। বাহিনীর প্রয়োজনে মইনুল ইসলাম ঢাকা ও বিদেশে অবস্থান করেছিলেন। তিনি শরীয়তপুরে আসলে আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে বাহিনীর কর্মকর্তারা মইনুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কেটে আনন্দ উৎসব করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলার সহকারী কমান্ড্যান্ট ফারুক ইসলাম বলেন, যে কোনো পেশায় একজন ব্যক্তির ইচ্ছে থাকে সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করার। আমাদের প্রিয় স্যার, বাংলাদেশ আনসার পদক পেয়ে সেই সম্মান অর্জন করেছেন। আমি তার সহকারী কমান্ড্যান্ট হিসেবে বিষয়টি আমার জন্যেও গর্বের। স্যারের থেকে আমরা সাহসিকতা ও সততা শিখে একদিন এমন সম্মান অর্জন করব ইনশাআল্লাহ। স্যার বাংলাদেশ আনসার পদক পাওয়ায় জেলার অন্যান্য কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক সদস্য আনন্দিত, উচ্ছসিত হয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কেটে আনন্দ উপযাপন করেছি।

‘বাংলাদেশ আনসার পদক’ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে মো. মইনুল ইসলাম বলেন, আমার জীবনের সর্বোচ্চ পাওয়া এটা। আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের মহাপরিচালক একেএম আমিনুল হক স্যারকে ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা জানাই আমি। আমাকে যে সম্মান জানিয়েছেন তারা, সেই সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করব। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর যে সকল সদস্য ও শুভকাঙ্খি আমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। মইনুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কেটে আনন্দ উদযাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আনসার বাহিনীর সহকারী কমান্ড্যান্ট ফারুক ইসলাম, সার্কেল এ্যাডজুট্যান্ট আব্দুল মান্নান মিয়া, সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, সদর উপজেলা প্রশিক্ষিকা আনোয়ারা আক্তারসহ অন্যান্যরা।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৫ মার্চ ২০২৪

Share