Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / বিষ্ণপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলা, আহত ৩
আদালতের

বিষ্ণপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলা, আহত ৩

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কাজির বাজারে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত কাজী মজিবুর রহমান বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

২৬ জুলাই সোমবার বিকেলে বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কাজির বাজার নয়নের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কাজী মুজিবুর রহমানের দাবি প্রতিপক্ষ আবুল বাশার কাজী ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেনঃ বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কাজী বাড়ির কাজী মজিবুর রহমান (৫৫), আবুল বাশার কাজী (৫৫) ও অপু কাজী (২২)।

কাজী মুজিবুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৬ জুলাই সোমবার বিকেলে তিনি কাজির বাজার তার নিজের সম্পত্তির উপর নির্মাণাধীন দোকানঘর দেখার জন্য জান। এ সময় সেখানে উপস্থিত তারই প্রতিপক্ষ আবুল বাসার কাজী তাকে দেখে গালমন্দ শুরু করে। এক পর্যায়ে আবুল বাসার কাজীর নেতৃত্বে সহোরাওর্দী কাজী, নবীর হোসেন কাজী, ইব্রাহিম কাজী, ফজলুর রহমান বেপারী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার স্থাপনা ভাঙচুর করে। এসময় আমি তাদেরকে বাধা দিলে তারা আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আবুল বাশার কাজী ও অপুসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে।‌

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই আবদুল মোতালেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থাপনা ভাংচুরকৃত সম্পত্তির উপর গত ২৭ জুন সিনিয়র সহকারী জজ (চাঁদপুর সদর) মোঃ সিরাজ উদ্দিন দেওয়ানী স্বত্ব মোকদ্দমা নং-৬১৪/২০২১ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

মামলার বাদী কাজী মজিবুর রহমান জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ আবুল বাশার কাজী ও তার লোকজন আমার স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেছে।

বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন শামিম খানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা আমার দোকানের স্থাপনাগুলো নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, যারা আমার দোকানের স্থাপনা ভাঙচুর করলো তাদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান কিছু না বলে উল্টো আমার স্থাপনা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকেই থেকে প্রতিপক্ষরা আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৭ জুলাই ২০২১