আড়াই’শ বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার (৬অক্টোবর) সকাল ৭ টায় হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে এক অজ্ঞাত বৃদ্ধ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত বৃদ্ধের বয়স ৬০ বছর।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সকালে চাঁদপুর গুনরাজদী এলাকার ইমন নামে এক ব্যক্তি বৃদ্ধকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। তার কোন নাম পরিচয় জানা যায়নি। ৫ ধরে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার তার মুত্যু হয়।
বাহক ইমনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়তো বিষয়টি ভুল করেছেন। আমি যাকে ভর্তি করিয়েছি তিনি ছিলেন সড়ক দুর্ঘটনার রোগী।
অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতাল কৃর্তৃপক্ষ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসান সংগঠনকে অবগত করেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সফিউল আলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমরা বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি থানা এবং আঞ্জুমানকে জানিয়েছি। সংগঠনের মফিজুল ইসলাম হাসাপাতালে এসেছেন, তিনি বলেছেন লাশ নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করবেন।
এদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে, মৃত ব্যক্তির লাশ বহন করেনি আঞ্জুমান খাদেমুল ইনসানের অ্যাম্বুলেন্স।
লাশ বহনকারী মুকবুল জানায়, আঞ্জুমানের অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্বে থাকা চালক হারুনকে একাধিকবার তার ব্যবহৃত এবং বিভিন্ন জনের মোবাইল দিয়ে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে মাসুদ নামের এক অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীকে ৫শ’ টাকা দিলে বৃদ্ধের লাশ মায়ের দোয়া প্রাইভেট অ্যাম্বলেন্সে করে দাফন, কাফনের জন্যে বাসস্ট্যান্ডে নেয়া হয়।
অ্যাম্বুলেন্স চালক হারুন জানায়, আমাকে কেউই কল দেয়নি। আমি তো এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
এমন ঘটনায় সচেতন মহলের প্রশ্ন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ অ্যাম্বুলেন্সটি বেওয়ারিশ লাশ কিংবা অসহায় গরীব রোগীদেরকে বহন করার জন্য দেয়া হয়েছে। কিন্তুু দেখাযায় আঞ্জুমানের দায়িত্বে থাকা লোকজন অ্যাম্বলেন্সটিকে প্রাইভেট অ্যাম্বলেন্স হিসেবে ব্যবহার করে প্রায়ই ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা কন্টাকে ঢাকায় রোগী আসা নেয়া করছেন। যদিও এটি অনিয়ম, তবুও তা নিয়মিত করে যাচ্ছেন আঞ্জুমান অ্যাম্বলেন্সটির দায়িত্বে থাকা লোকজন।
যে অ্যাম্বুরেন্সটি বেওয়ারিশ লাশ কিংবা গরীব অসহায়দের জন্য দেয়া হয়েছে সেটিকে যদি সে কাজের সময় না পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।
এ বিষয়ে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের কেয়ার টেকার মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আঞ্জুমানের গাড়ি অনেক বড় হওয়ায়, সেটি লাশঘর পর্যন্ত ঢুকবে না বলে আমি ভ্যান গাড়ি কন্টাক করেছি। তাই অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আনা হয়নি। যখন হাসপাতাল থেকে লাশ বাসস্ট্যান্ডে নেয়া হয়েছে তখন আমি ছিলাম না।
পরে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের সহায়তায় মৃত বৃদ্ধের কাফনের ব্যবস্থা করে জানাজা শেষে চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ০০ এএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭ শনিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur