জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির আরেক মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত।
এ দিন কারাগার থেকে মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
এর আগে ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরি পলাতক। খালেদা জিয়াসহ তিন জন কারাগারে রায়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
দুদকের করা আরেক মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৯ অক্টোবর, ২০১৮
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur