Home / বিনোদন / আজীবন সম্মাননা পেলেন ববিতা
আজীবন সম্মাননা পেলেন ববিতা

আজীবন সম্মাননা পেলেন ববিতা

২০১৮ সালের মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭-এর ২০তম আসরে তাঁর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। চিত্রনায়িকা ববিতার হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭। জমকালো পরিবেশনা ও দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকাদের উপস্থিতিতে এ আয়োজন পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। হাজির হয়েছেন নবীন, প্রবীণ ও খ্যাতিমান সব তারকা।

দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য চিত্রনায়িকা ববিতাকে দেওয়া হয়েছে ‘আজীবন সম্মাননা’। পরিবার ও কাছের মানুষের কাছে ষাটোর্ধ্ব এই নায়িকার নাম ফরিদা আক্তার পপি। চলচ্চিত্রজগতে শুরুর দিকে তাঁর নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর নাম হয়ে যায় ‘ববিতা’। সেই থেকে এখনো ববিতা নামেই দেশ-বিদেশের মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে চলেছেন তিনি।

১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই অভিনেত্রী। মা-বাবা চেয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বড় বোন সুচন্দার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে নাম লেখান ববিতা। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়।

সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ববিতা। গ্রামীণ, শহুরে কিংবা সামাজিক, অ্যাকশন—সব ধরনের ছবিতেই তিনি ছিলেন সাবলীল।

ববিতা অভিনীত ছবির সংখ্যা আড়াই শতাধিক। এর মধ্যে ‘বাঁদী থেকে বেগম’ (১৯৭৫), ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘রামের সুমতি’ (১৯৮৫) ও ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ (১৯৯৬) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন….

এক নজরে এবারের সেরা তারকারা

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ২০তম আসর বসেছিল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। বিনোদন ও সংস্কৃতি জগতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন বিভাগে ১৬ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এক নজরে পুরস্কারপ্রাপ্তরা—

আজীবন সম্মাননা ২০১৮
ববিতা

সমালোচক পুরস্কার (টিভি)

সেরা নাট্যকার: আশফাক নিপুণ (দ্বন্দ্ব সমাস)
সেরা নির্দেশক: তানভীর আহসান (বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো)
সেরা অভিনেতা: রওনক হাসান (দ্বন্দ্ব সমাস)
সেরা অভিনেত্রী: সবিতা সেন (মার্চ মাসের শুটিং)

চলচ্চিত্র সমালোচক পুরস্কার

সেরা চলচ্চিত্র: খাঁচা
সেরা পরিচালক: আকরাম খান (খাঁচা)
সেরা অভিনেতা: আজাদ আবুল কালাম (খাঁচা)
সেরা অভিনেত্রী: রুনা খান (ছিটকিনি)

পাঠকের রায়

সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা: আরিফিন শুভ (ঢাকা অ্যাটাক)
সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী: তিশা (ডুব)
সেরা নবাগত অভিনয় শিল্পী: তাসকিন রহমান (ঢাকা অ্যাটাক)
সেরা টিভি অভিনেতা: অপূর্ব (বড় ছেলে)
সেরা টিভি অভিনেত্রী: মেহ্‌জাবিন (বড় ছেলে)
সেরা গায়ক: জেমস (তোর প্রেমেতে অন্ধ—সত্তা)
সেরা গায়িকা: মমতাজ (না জানি কোন অপরাধে—সত্তা)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ১০ পি.এম ৩১মার্চ,২০১৮শনিবার
এ.এস