জাতীয়

আজহারীকে উদ্দেশ্য করে সংসদে যা বললেন মমতাজ

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম মন্তব্য করেছেন,ফেসবুক,ইউটিউব খুললে ওয়াজের নামে মিথ্যা আর অকথ্য গালাগালি ভরা,এগুলো সরকারের নজরে আসা দরকার। এসময় ঘরে ঘরে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর জন্মের আহ্বান জানানোর বিষয়ে প্রশাসনের নজ’রদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন মমতাজ।

২৯ জানুয়ারি বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মমতাজ বেগম এসব কথা বলেন।

এসময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, আমাদের কালোকে কালো বলতে হবে, সাদাকে সাদা বলতে হবে। কোনো গ্রুপ অনেক বড় তার পক্ষে থাকবো, আর যারা দুর্বল তার পক্ষে থাকবো না। এ কথা অন্তত আওয়ামী সরকার বিশ্বাসী না।

মমতাজ বেগম বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষ,অসাম্প্রদায়িক এই সরকারের পাশে শিল্পীরা অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ আমরা দেখেছি, আমরা আগের আমলগুলো ভুলে যাইনি। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সব শিল্পীদের গান-বাজনা মোটামুটি বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। তারা প্রত্যেকটা আসরে, বাজারে, সিনেমা হলে, উদীচিতে, রমনার বটমূলে একসঙ্গে সিরিজ বোমা হামলা চালায় ৬৪ জেলায়। কোথায় বোমা না মেরেছে!

প্রত্যেকটি শিল্পীদের আঘাত করা হয়েছে। কারণ শিল্পীরা অসাম্প্রদায়িক। তারা ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে, মানুষের কথা বলে, মানুষের পাশে মানুষকে দাঁড়ানোর কথা বলে। আর তাদের ঠেকানোর জন্য এক দল, একদল… আমি নাম বলবো না। তারা কিন্তু উঠে পড়ে লেগেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে, আমরা সবধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। কিন্তু আমার মনে হয়, কিছু কিছু জায়গায় বেকা’য়দাও আছি। কারণ ইউটিউব, ফেসবুক খুললে কী যে একটা অবস্থা…। অশালীন ভাষায়, অকথ্য ভাষায়, যেভাবে কোরআন শরীফকে সামনে রেখে, আল্লাহ-রাসুলকে সামনে রেখে, যেভাবে অকথ্য ভাষায় আজকাল ওয়াজ শোনা হয়।’

তিনি আরও বলেন, এক জায়গায় বলে আল্লামা কোনো মানুষকে বলা যাবে না, আল্লামা একমাত্র আল্লাহকে বলা হবে। আবার আরেক জায়গায় বলে ঘরে ঘরে আল্লামা সাঈদী চলে এসো, সাঈদীর জন্ম হোক। ওখানে আল্লামা বলতে আর কোনো ঝামেলা নাই তাদের। আরও অনেক ধরনের কথা আছে, যেগুলো আমি আর এখন বলবো না। কিন্তু আমাদের প্রশাসন, আমাদের সরকারকে ন’জ’রদারি বাড়াতে হবে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ

Share