চাঁদপুর শহরে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওপর আছড়ে পড়েছে। এতে দু’ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ অন্তত ৪জন আহত হয়েছে। ৫ বৃহস্পতিবার রাতে দিকে চাঁদপুর শহরের মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শামিম টেলিকম ও অভিষেক স্টোর। আহতরা হলেন শামিম টেলিকমের মালিক শামিম সরকার ও অভিষেক স্টোরের বাসু মিয়া ও দু’জন ক্রেতা। তবে তাৎক্ষণিক ক্রেতাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় একটি নোহা মাইক্রো কেউ কিছু বুঝা উঠার আগেই রাস্তার অপর প্রান্ত থেকেই সজোরে গতিতে এসে দু’টি দোকানের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে দোকান দুটির বেশিরভাগ অংশ আসবাবপত্র দুমড়ে মুছড়ে যায় এবং গাড়িটিরও সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপস্থিত মাইক্রো স্ট্যান্ডের কয়েকজন চালক জানায় গাড়িতে যে ড্রাইভিং বসা ছিলো সে চালক নয় কোনো গাড়ির হেলপার হবে।
এ বিষয়ে শামিম টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী শামিম সরকার জানায়, ‘আমি স্বাভাবিক দোকানে বসে আমার একজন কাস্টমারের সাথ কথা বলছিলাম, বাইরে আওয়াজ শুনে আমার বসার স্থান থেকে উঠতেই দেখি একটি মাইক্রো এসে আমার দোকানের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে করে দোকানের সামনের কয়েক ফুট উঁচু ইটের দেয়াল ও ফিক্সড করা গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গাড়িটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। আমার বসার স্থান ও সামনে শো-কেছসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র তছনছ হয়ে যায়। আমি ওই সিটে বসা থাকলে হয়তো মারা যেতাম। পুরো ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
তিনি আরো জানান, ‘তার পাশের দোকান অভিষেক স্টোরের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং দোকান মালিক বাসু মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার দোকানের পাশে একজন পান দোকানদার পান বিক্রি করেন,, ভাগ্যিস ওই সময় ওই পান দোকানি তার দোকানে উপস্থিত ছিলেন না। না হলে হয়তো সে মারাই যেতো।’
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও মাইক্রোর মালিক কে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমি আহত হয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। আমার দোকানের ক্ষয়ক্ষতি কতো হয়ছো এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে মাইক্রো স্ট্যান্ডের লোকজন দায়িত্ব নিয়েছে তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাইক্রো ও চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে চালক পালিয়ে যায়।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৬ মার্চ ২০২০