Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / অভিন্ন লাইন স্থাপনের দাবিতে ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও
Gherau

অভিন্ন লাইন স্থাপনের দাবিতে ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও করেছে পৌরসভার তিন গ্রামের আংশিক জনতা। পৌরসভায় অভিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের দাবিতে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে বিক্ষোভ মিছিলসহ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা।

পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকে দিলে সেখানেই অভিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের দাবিতে তারা বিভিন্ন ¯েøাগান দেন।

পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোখলেছুর রহমান বিক্ষোভকারীদের সাথে আলাপকালে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সমস্যাটি তুলে ধরে সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ^াস দিলে বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলন আব্দুল মান্নান পরান বলেন, “ভাটিরগাঁও, নোয়াগাঁও এবং রুদ্রগাঁও গ্রামগুলো পৌরসভার প্রধান সঞ্চালন লাইনের অন্তর্ভূক্ত নয়। গ্রাম তিনটিকে পৌরসভার প্রধান সঞ্চালন লাইনের অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে আমরা ইতিপূর্বে ডিজিএম বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গৃহিত হয়নি। আমরা আজও পুনরায় ডিজিএম’র কাছে আবেদন দিয়ে গেলাম। উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় তিনি বিষয়টি তুলবেন বলে তিনি আমদের আশ্বস্ত করেছেন।”

এদিকে ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলায় মোট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ পাঁচ হাজার। কামতা সাবস্টেশন বাদ দিলে গ্রাহক সংখ্যা বাহাত্তর হাজার।

উল্লেখিত গ্রাহক বা মিটারের বিপরীতে বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ২৪ মেগাওয়াট। অথচ আমরা সরবরাহ পাচ্ছি সর্বসাকুল্যে ১৭ থেকে ১৮ মেগাওয়াট।

ঘাটতি থাকে ৬/৭ মেগাওয়াট। আমরা রেশনিং পদ্ধতিতে ৭টি ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে আসছি। একটি ফিডারের মাধ্যমে মাত্র আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন সম্ভব। উপজেলা কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ, পৌর কার্যালয়সহ উপজেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পৌরসভার অন্তর্গত হওয়ার কারণে পৌরসভার সবগুলো গ্রামকে এক ফিডারের আওতায় রাখা সম্ভব হয়নি। সম্পূর্ণ পৌরসভাকে এক ফিডারের আওতায় আনতে গেলে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে হবে।

তিনি আরো জানান, ‘ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গেলে সুনিশ্চিত দূর্ঘটনা ঘটবে। ইতিমধ্যে ওই তিন গ্রামকে পৌরসভার প্রধান সঞ্চালন লাইনের আওতায় আনার জন্য একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাগুলো না বুঝেই পল্লীবিদ্যুৎ অফিসকে বারংবার চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। সে মোতাবেক উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভা, চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর প্রধান কার্যালয় এবং সর্বোপরী মাননীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করি।

বিষয়টি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগে বিষয়টিও উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় তোলা হবে। প্রশাসন যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সে অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।

প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৩৩ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৮, রোববার
ডিএইচ