Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া ৮টি রেলবিট উদ্ধার, ব্যবসায়ী আটক
রেলবিট

চাঁদপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া ৮টি রেলবিট উদ্ধার, ব্যবসায়ী আটক

চাঁদপুরে অবৈধ ভাবে বিক্রি করা রেলওয়ের ৮ টি রেলবিট (রেললাইন) উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে শহরের ইচলীঘাট এলাকার গফুর মিয়ার নবনির্মিত সমিল থেকে মৃদুল চন্দ্র দাসকে আটক করা হয়।

এসময় রেলবিট বিক্রির অভিযোগে এক লোহা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে মামলা পক্রীয়াধীন বলে জানা গেছে।

চাঁদপুর টাইমসে প্রকাশিত সংবাদ-   চাঁদপুরে অবৈধ ভাবে রেলওয়ের ৮ টি লাইন বিক্রি

চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ উল্ল্যাহ বাহার জানান, চাঁদপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার রাতে রেললাইন বিক্রি করার বিষয়ে অভিযোগ করলে আমরা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে ৮টি লাইন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। একইসাথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মৃদুল কান্তি দাসকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জানা যায়, বড়স্টেশন রেললাইনের গুডস অফিসের পাশে দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কিছু রেলবিট রাখা ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে সেখান থেকে স্থানীয় পুরাতন লোহা ব্যবসায়ী মৃদুল চন্দ্র ৮টি রেল বিট চুরি করেন। পরে শহরের ইচলী এলাকায় একটি সমিলে বিক্রি করে দেন।

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, বুধবার বিকেলে পুলিশের সহযোগিতায় ৭টি রেলবিট জব্দ করি।

‘চট্টগ্রাম লৌহ বিতানের’ মালিক লোহা ব্যবসায়ী মৃদুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি ৫ বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে এসব বিট কিনে চাঁদপুরে নিয়ে আসি। এসব রেলের বিট নয়, জাহাজের বিট।’

প্রসঙ্গত, ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ৫নং খেয়াঘাট এলাকার চট্টগ্রাম লোহা বিতানের ব্যবসায়ী মৃদুল কান্তি দাস অবৈধভাবে রেলওয়ে আটটি রেলবিট বিক্রি করেছেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধ্যান চালালে তার সত্যতা পাওয়া যায়।

চাঁদপুর রেলওয়ের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সত্যতা পান।

তারা জানান, যেসব রেলবিট গুলো বিক্রয় করা হয়েছে এবং যেটি ওয়ার্কসপে রয়েছে, একই মানের রেলবিট বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে চাঁদপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জিআরপি থানায় অভিযোগ করে বিক্রি হওয়া রেল লাইন গুলো উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্ত মৃদুল কান্তি দাস কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান।

প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, কবির হোসেন মিজি