Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে অপহরণ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার নাটক, আটক ৪
অপহরণ

ফরিদগঞ্জে অপহরণ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার নাটক, আটক ৪

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অপহরণের ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার মিথ্যা ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।

জানা যায়, ২ আগষ্ট সোমবার উপজেলার সাহাপুর এলাকার মো. মিলন এর ছেলে বাবু (২০) কে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা অপহরণের নাটক সৃজন করে একই এলাকার ইব্রাহিম বেপারীর স্ত্রী জান্নাত আক্তার (১৯), মাসুদ আলমের মেয়ে নাদিয়া (১৫), কাছিয়াড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. তারেক, পশ্চিম রুপসা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক এর স্ত্রী আমেনা বেগম (২৩) ও পলাতক আসামি মো. রাব্বি (২০)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণের ঘটনা বিশ্বাস যোগ্য করার জন্য জান্নাত ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত কিশোরী নাদিয়া (১ আগস্ট) তারেক ও পলাতক রাব্বিসহ পরিকল্পনা মাফিক জান্নাত ও নাদিয়া (২ আগস্ট} রাত সাড়ে ১২টায় নিজ ব্যবহৃত মোবাইল ঘরের সামনে ফেলে তারেকের সাথে মোটর সাইকেল যোগে রুপসায় আসে এবং আমেনা বেগমের ঘরে অবস্থান করে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, আংটি লুকিয়ে রেখে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা সাজায়।

২ আগষ্ট সোমবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন অপহরণের সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপারকে অবগত করে। অতঃপর পুলিশ সুপার নির্দেশনা মতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাজীগঞ্জ সার্কেল এর তত্ত্বাবধানে অপহরণের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন এবং তাৎক্ষনিক ভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার এস আই আব্দুল কুদ্দুস, নুরুল ইসলাম ও এ এস আই শিকদার হাসিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে স্বর্ণালংকারসহ উদ্ধার করে ।

উদ্ধারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তাদের তথ্য মতে উক্ত ঘটনায় জড়িত অপরাপর আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের অপরাধ জনক ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতার তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় নিয়মিত মামলা রুজু করে ৩ আগষ্ট মঙ্গলবার চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করার পর ১ নং আসামি জান্নাত (১৯) আদালতে দোষ স্বীকার পূর্বক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, অন্যকে পাষানোর জন্য আসামীরা একে অপরের যোগসাজশে অপহরণ ও স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নেওয়ার মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশ মতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাজীগঞ্জ সার্কেল মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করি এবং আসামমিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তাদের দোষ স্বীকার করে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৩ জুলাই ২০২১