নিবন্ধন না থাকলেও এখনই কোন সক্রিয় সিম বন্ধ করতে চায় না মোবাইল অপারেটররা। প্রক্রিয়াটি বড় হওয়ায় গ্রাহকদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ ও সম্মান দেখিয়ে আপাতত কোন সিম বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটর বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অ্যামটব মহাসচিব টিআইএম নুরুল করিব। মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাস্তবায়তা নিজেদের অবস্থান জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় সংগঠনের সদস্য প্রতিষ্ঠান ৬ মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যামটব বলছে, প্রক্রিয়াটি একটি বড় কাজ। সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কত দিন লাগবে তা এখনই বলা যাবে না। কার্যক্রম শুরু করলে বুঝা যাবে। তবে আপাতত কোন সিম বন্ধ করা হবে না। গ্রাহককে পর্যাপ্ত সুযোগ ও সম্মান দেখানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া মোবাইল ফোন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ আপডেট জানতে চাইলে জানাতে পারেননি নুরুল করিব। তিনি বলেন, এই সংখ্যা প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে আমার কাছে এই তথ্য নেই।
পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগবে জানতে চাইলে অ্যামটব মহাসচিব কিছু স্পষ্ট করতে পারেনি। তিনি বলেন, এটি সরকার চূড়ান্ত করবে। তবে আমরা নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাবো। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে কার্যক্রম শুরু হবে। তখনই বোঝা যাবে কত সময় লাগবে। সেটি সরকার আমাদের চূড়ান্ত করে দিবে। এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি কঠিন কাজ। এটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা গ্রাহককে সব ধরনের সুযোগ দিতে চাই। তাকে (গ্রাহককে) এসএমএস করা হবে। ফোন করে জানতে পারবেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হবে। টেলিভিশনে সচেতন করা হবে। সব ধাপ সম্পন্ন করে গ্রাহককে সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে সিম বন্ধ করা হবে কি-না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সহসা নয়। তবে গ্রাহক সিম বন্ধ করার পর যদি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে আসেন সেটি আমরা আবার সচল করে দিবো।
নুরুল কবিরের কাছে জানতে চাওয়া হয় এ পর্যন্ত কি পরিমাণ সিম যথাযথ প্রক্রিয়ার বাইরে পাওয়া গেছে। এর জবাবে তিনি বলেন, সেটি বলা যাবে না। তবে ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী যেটি শুরুতে বলেছিলেন ৭৫ শতাংশ, সেটি এখন অনেক কমে গেছে। আমরা কয়েক কোটি তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পকে দিয়েছি।
অ্যামটব সচিব আরো বলেন, দেশে ১৩ কোটি মোবাইল সিম রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ সিম ব্যবহার করে। এতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা জটিল কাজ। তবে এটি করতে পারলে মোবাইল সিম নাগরিকের পরিচিত নম্বর হিসেবে কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়, এটি দির্ঘায়িত করার পায়তারা করা হচ্ছে কি-না। জবাবে নুরুল কবির বলেন- না, সেটি নয়। আমরা গ্রহণযোগ্য কম সময়ে কাজটি করতে চাই। সেটি ৬ মাসের মধ্যে বোঝা যাবে। তাছাড়া আমরা নিয়মিত ভাবে সরকার, বিটিআরসি, মোবাইল অপারেটররা একসঙ্গে বসছি। প্রতিমাসে এটি ফলোআপ করা হবে।
তবে পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সিম কত হারে কমে যেতে পারে এমন প্রশ্নে সোজা উত্তর দিতে পারেনি তিনি। তিনি বলেন, আমরা কোনো সিম বন্ধ হোক সেটি চাই না। কাজ শুরু হলে পরে বলা যাবে।
|| আপডেট: ০২:৩৭ অপরাহ্ন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবারচাঁদপুর টাইমস-ডিএইচ/২০১৫।