মেয়েটির নাম মুন্নি চৌধুরী ইলমা। বাবা মনির চৌধুরী এবং মায়ের নাম মুক্তা বেগম। থাকে ঢাকা শহরের কোন এক এলাকায়।
বাড়ির কাছে অচেনা এক লোকের দেয়া ঝালমুড়ি খাওয়ার পর কি ঘটেছে তার মনে নেই। বর্তমানে সে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ হেফাজতে।
সোমবার রাতে চাঁদপুর টাইমস প্রতিবেদকের কাছে এমনটাই জানালেন গত তিন দিন চাঁদপুর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা শিশু মুন্নি। ঢাকার আলোড়ন পড়ি (মেয়েটি মুখে উচ্চারিত তার স্কুলের নাম) স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুন্নি।
চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই আনোয়ার ও জামাল হোসেনের আদর-স্নেহের সদা হাস্যোজ্জ্বল মুন্নি আরো জানায়, তার বড় মায়ের বাড়ি চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা হাওলাদার বাড়ি। অনেক দিন আগে সে মা বাবার সাথে সেখানে বেড়াতে এসেছিলো। পরিবারে সে ছাড়াও তার আরো দুই ভাই এবং দু’বোন রয়েছে। ভাই বোনের মধ্যে সে ২য়। গত ৩দিন থেকে পুলিশ কর্মকতাদের অনেক আদর ¯েœহ পেলেও এখন সে বাবা মায়ের কাছেই ফিরে যেতে চায়।
চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই আনোয়ার ও জামাল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘গত ২৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধায় একজন অটো চালক শিশুটিকে শহরের চিত্রলেখা এলাকায় কুড়িয়ে পায়। পরে সে শিশুটিকে মডেল থানা পুলিশের কাছে রেখে চলে যায়। শিশুটি আজ ৩দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাচ্চা মেয়ে তাই ওকে নজরে রাখাটা খুব কষ্টকর। রাতে শিশুটিকে একজন নারী পুলিশ সদস্যদের পাহারায় ঘুমিয়ে রাখা হয়। বাচ্ছা শিশু-তাই কখন আবার সবার চোখ ফাকি দিয়ে চলে যায় কিনা, কে জানে?’
এদিকে শিশুটির সাথে কথা বলার সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে তার হাস্য-ঠাট্টা দেখে উপস্থিত লোকজন অনেকে আনন্দিত হয়ে যান। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় শিশু মুন্নি ইচ্ছে মতো যে কোনো পুলিশ সদস্যের কোলে চড়ে বসছেন। আর পুলিশ সদস্যরাও তাকে কোলে নিয়ে কপালে স্নেহের চুমু এঁকে দিচ্ছেন।
উপস্থিত এক ব্যক্তি এসব দেখে বলেই ফেললেন ‘পুলিশ আসলেই জনগণের বন্ধু’
চাঁদপুর টাইমসের ক্যামেরায় ধারণকৃত তার ভিডিও বক্তব্য……..
আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট