প্রথম দু’টি ধাপে সফল হওয়ার পর মানবদেহে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের। যদিও এ ভ্যাকসিনের ফলাফল নিয়ে এখনও কোনও দাবি করেনি অক্সফোর্ডের গবেষক দলটি।
তবে ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্তত ১০টি সংস্থার সঙ্গে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সর্বশেষ ১০তম চুক্তিটি হয়েছে ব্রাজিলের সঙ্গে।
ব্রাজিলে স্থানীয় ভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে। ব্রাজিলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এলসিও ফ্রাঙ্কো সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছেন, শুরুতে মোট ৩ কোটি টিকা উৎপাদন করা হবে। তার অর্ধেক ডিসেম্বরে এবং বাকি দেড় কোটি পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যেই তৈরি করা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ডায়াবিটিস, শ্বাসকষ্টের মতো কো-মর্বিডিটিতে আক্রান্ত প্রবীণ এবং সামনের সারির যোদ্ধা অর্থাৎ চিকিৎসক-নার্সদের প্রথম ব্যাচে উৎপাদিত টিকা দেয়া হবে।
তবে জুনের শুরুতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও বলেছিলেন, এ টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এক বছরের জন্য।
বিশ্বে ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিষেধক ছাড়া এ মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তাই করোনার ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অন্তত ১৪০টি টিকা আবিষ্কারের প্রকল্প চলছে সারা বিশ্বে। তার মধ্যে অন্তত ১৩টি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতিমধ্যেই তৃতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বার্তা কক্ষ , ৩০ জুন ২০২০