Home / জবস / ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার

৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ লক্ষ্যে শূন্যপদে ৩৯ হাজার ৫৩৫ শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২ জানুয়ারির মধ্যে দরখাস্ত আহ্বান করেছে এনটিআরসিএ।

নিবন্ধন সনদধারী ৩৫ বছর বা তার কম বয়সী হলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সারা দেশে প্রায় ১৯ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাড়ে তিন হাজার কলেজ ও সাড়ে ৯ হাজার মাদ্রাসা আছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের করা জাতীয় মেধাতালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

দেশে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে সম্প্রতি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সারা দেশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৫৩৫ পদ শূন্য আছে। ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগপ্রত্যাশীদের এসব পদের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন করতে বলা হয়। প্রাপ্ত আবেদনগুলো জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধিমোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।

এর পর নির্বাচিতদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে মোবাইল ফোনে এসএমএস করে নির্বাচিত প্রার্থীর কথা জানিয়ে দেয়া হবে। প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে ১৮০ টাকা করে জমা দিতে বলা হয় এনটিআরসিএর ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রথম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হয়েছে ১৪টি। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫৮৪ চাকরিপ্রার্থী।

এনটিআরসিএর সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, জাতীয় মেধাতালিকায় প্রথম থেকে সর্বশেষ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবারই নাম আছে। প্রাপ্ত নম্বরের ক্রমানুসারে প্রতি বছর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। তালিকাটি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/merit) পাওয়া যাবে।

এনটিআরসিএর হেল্প ডেক্স থেকে জানা গেছে, বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদের সংখ্যা নিজ জেলা শিক্ষা অফিসে আছে। চাকরি প্রার্থীরা সেখান থেকে জানতে পারবেন। পাওয়া যাবে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/requisition-list.php লিংকেও।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এসএম আশফাক হুসেন জানান, শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পৌর এলাকায় ৩০ শতাংশ ও বিভাগীয় শহরে ৪০ শতাংশ নারী কোটা পূরণ করা হবে।

এনটিআরসিএ নিবন্ধনপ্রাপ্ত প্রার্থী নিয়োগের জন্য আবেদন করেতে পারবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮-এ উল্লিখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসরণ করা হবে।

প্রার্থীর বয়স ১২ জুন ২০১৮ তারিখে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা) শূন্যপদের চাহিদার (e-Requisition) একটি সমন্বিত তালিকা ওয়েবসাইটে (http://www.ntrca.gov.bd, http://ngi.teletalk.com.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। শূন্যপদের তালিকা দেখে আবেদন করতে হবে। নিয়োগের জন্য পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে সমন্বিত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে।

এ নিয়োগের জন্য অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। ই-আবেদন ফরম http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/app-home.php লিংকে পাওয়া যাবে। আবেদন ফরমটি সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণ শেষে সাবমিট করা হলে তা সংশোধন করা যাবে না। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে তা প্রমাণিত হলে আবেদনপত্র বাতিল করা হবে।

যিনি যে যে বিষয়ে নিবন্ধন সনদধারী, তিনি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তার সংশ্লিষ্ট বিষয় বা বিষয়গুলোর বিপরীতে তালিকায় বর্ণিত সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে ও একাধিক পদে আবেদন করলে পছন্দের ক্রম উল্লেখ করে দিতে হবে। পছন্দের ক্রমানুসারে ও মেধাক্রম অনুসারে একটি পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শরীরচর্চা শিক্ষক পদের জন্য শুধু মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সব নিয়ম-কানুন http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/misc/e-application-instruction.pdf লিংকে পাওয়া যাবে।

প্রাপ্ত আবেদনপত্র থেকে সমন্বিত জাতীয় মেধাতালিকার মেধাক্রমের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।

চাকরি প্রার্থী যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন, সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী প্রতিষ্ঠান বদল করতে চান, তা হলে পরের বছর ওই প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে আবেদন করতে হবে। অন্য কোনো জেলায় নিয়োগ পেয়ে পরবর্তী সময়ে নিজ জেলার কোনো প্রতিষ্ঠানে বদলি হয়ে আসার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এসএম আশফাক হুসেন।

নতুন স্কেলে বেতনভাতা দেয়া হবে। এমপিওভুক্ত কলেজের একজন প্রভাষকের নবম গ্রেডে মূল বেতন ২২ হাজার টাকা। বেসরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকের মূল বেতন হবে দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা ও বাড়িভাড়া মাসিক এক হাজার টাকা। রয়েছে উৎসবভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। নন-এমপিও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার প্রভাষক ও শিক্ষকদের বেতনভাতা প্রতিষ্ঠান বহন করবে।

বার্তাকক্ষ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

Leave a Reply