Home / সারাদেশ / ১৬-৩০ জুন দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ পক্ষ
১৬-৩০ জুন দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ পক্ষ

১৬-৩০ জুন দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ পক্ষ

১৬-৩০ জুন দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ পক্ষ ২০১৭ চলছে। প্রতিবছর কৃষিমন্ত্রালয় দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ পক্ষ পালন করে থাকে । কৃষিমন্ত্রালয় এ বছর দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ পক্ষের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ হয়েছে ‘স্বাস্থ্য,পুষ্টি,অর্থ চাই-দেশি ফলের গাছ লাগাই ’।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৬ জুন বিশেষ বাণী প্রদান করেছেন ।

বাংলাদেশ চির সবুজ ও জীব-বৈচিত্র্যের দেশ। প্রাকৃতিকভাবেই এ দেশে অনেক প্রকার প্রাণী ও উদ্ভিদের সমাহারে প্রতিনিয়তই বৈচিত্র্যময় করে রেখেছে আমাদের দেশকে। আমাদের দেশে ফল আবাদের জন্যে চমৎকার আবহাওয়া ও জলবায়ূ বিদ্যমান রয়েছে ।

বর্তমানে দেশে ১শ’৩০ প্রকারের ফল উৎপাদনের তথ্য রয়েছে । আমাদের দেশের এসব ফল স্বাদে,গন্ধে ও বর্ণে খুবই চমৎকার ও আকর্ষণীয় । শরীরিরের চাহিদাপূরণে পুষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমরা বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি।

প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যে বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার বর্গ কি.মি এলাকা জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। এ বনাঞ্চল দেশের জমির ১৪ ভাগ মাত্র। দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ থাকার কথা ২৫ ভাগ । আমাদের তা’ নেই।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বনাঞ্চল স¤প্রসারণ করা ছাড়া কোনো গতি নেই। আমাদের মতো দরিদ্র দেশের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়। বস্তুত বনজ স¤পদের যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণের ওপর আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভর করে।

বৃক্ষ অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আনতে ভূমিকা পালন করে। পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের ভূমিকা অদ্বিতীয় । জীব বৈচিত্র্যের আবাস ভূমিই বনাঞ্চল । একটি দেশের আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বর্তমানে আমাদের দেশে রয়েছে ১৪-১৫ ভাগ ।

ঘূর্ণিঝড় বন্যা,মহামারি,জলোচ্ছ্বাস , ভূমিকম্প,বর্জ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিহার্য । বৃক্ষ খাদ্য দিয়েও আমাদের বাচিঁয়ে রাখছে।

১৪-১৫ ভাগ বনাঞ্চল থেকে নির্দয়ভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। দৈনন্দিন প্রয়োজন মিটানো ছাড়াও বৃক্ষ এদেশের প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে। বনভূমি বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে, বন্যা,খরা,জলোচ্ছাস ইত্যাদি হতে প্রাণিকূলকে রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃক্ষ ও বনাঞ্চলের অভাবে প্রায় প্রতি বছরই আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হতে হয়।

দেশের বিভিন্ন এলাকার বনাঞ্চল হতে বন বিভাগের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইশারা বা যোগ সাজসে চোরাকারবারীরা কাঠ কেটে অবাধে চোরাই পথে বিক্রি করে চলেছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদের এ অপতৎপরতা বন্ধ করা প্রয়োজন ।

এ ছাড়াও ফলদ গাছ থেকে আমরা বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান অক্সিজেন,কাঠ,জ্বালানি,ছায়া ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা পাই।

সব প্রকার বৃক্ষের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক নাগরিককে এবছর অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ প্রদান করেছেন । জাতীয় বৃক্ষ পক্ষকে সফল করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে র‌্যালি,সভা,আলোচনা সভা,মেলা,সেমিনার প্রভৃতি কর্মসূচি পালনের নির্দেশ রয়েছে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২ : ৫০ পিএম, ১৭ জুন ২০১৭, শনিবার

ডিএইচ

Leave a Reply