Home / চাঁদপুর / এ্যাড. লুৎফুর রহমান খানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী
লুৎফুর রহমান

এ্যাড. লুৎফুর রহমান খানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

হাজীগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান এ্যাড.লুৎফুর রহমান খানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ জুলাই রোববার । এ উপলক্ষে তাঁর পবিবারবর্গ শের-এ-বাংলা রোডস্থ বাসায় ঐ দিন বাদ আছর তাঁর কনিষ্ঠপুত্র মতলব ওয়াইশীয়া কামেল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো.ওয়ালিদ হোসেন মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছেন।

এ্যাড.লুৎফুর রহমান খান ১৯২০ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখালের প্রতাপপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৫ সালে এসএসসি, ১৯৩৭ সালে এইচএসসি ও ১৯৩৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থেকেই তিনি পড়াশুনা করেন। তিনি প্রথমে ১৯৪৫ সালে ঢাকা এবং পরবর্তীতে চাঁদপুরে আইন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ছিলেন চাঁদপুরের একজন প্রবীণ আইনজীবী। দীর্ঘ ৫০ বছর আইন ব্যবসা পরিচালনা করেন। বেশ সুখ্যাতির মধ্যেই আইন পেশায় সারাজীবন কাটান এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নজরুল গবেষণা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও একজন স্বচ্ছ নজরুল প্রেমি ছিলেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াবস্থায় আবাসিক হলে বিভিন্ন অবসর সময়ে দেশের তৎকালীন ছাত্র রাজনীতি ও প্রেক্ষাপট নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা করার সুযোগ পান বলে জানা যায়। মরহুম এ্যাড.লুৎফুর রহমান হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদীয় আসন থেকে এমপি নির্বাচন করেন। চাঁদপুরের প্রবীণ আইনজীবী মরহুম এ্যাড.আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান খান ছিলেন সত্যিকারের একজন নজরুল প্রেমিক।

জাতীয় কবি নজরুল ইলামের রচনাবলী, সাহিত্য চর্চ্চা, সাহিত্য ও কাব্যে অবদান, কবির জীবনধারা ও বৈচিত্র্য,সৈনিক জীবন,তাঁর কাব্য ইতিহাস-ঐতিহ্য,সুনাম-সুখ্যাতি এবং নজরুল সাহিত্য-কর্মের বিস্তৃতি লাভ ও নজরুলের তিন-তিনবার চাঁদপুরে আগমনের বিজরিত স্মৃতি তুলে ধরার জন্য এ প্রবীণ আইনজীবী মরহুম এ্যাড.আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান খান ২০০১ সালে‘নজরুল গবেষণা পরিষদ,চাঁদপুর নামে একটি পরিষদ গড়ে তোলেন। নজরুলের অনেক গ্রন্থ তিনি পড়েন ও সংরক্ষণে রাখেন। চাঁদপুরের ক’জন আইনজীবীকে নিয়ে তিনি এটি গড়ে তোলেন শের-ই-বাংলা রোড়, বিষ্ণুদির ৩৮০ নং বাড়ির একটি কক্ষে।

তার বড় ছেলে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্রগ্রাম এর বর্তমান কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন আই কে তৈমুর,সেজো ছেলে এসোসিয়েট প্রফেসর দাউদ জামির খান,ছোট ছেলে মো.ওয়ালিদ হোসেন খান এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর,মেঝো ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী-৬ ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। আল্লাহ পাক যেনো উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নাসিব করুন।

৬ জুলাই ২০২৫
এজি