Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / হাইমচরে প্রেমের টানে দু’সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
হাইমচরে প্রেমের টানে দু’সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও

হাইমচরে প্রেমের টানে দু’সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও

মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে দুই সন্তান রেখে প্রবাসী স্বামীর গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে রুজিনা বেগম নামের এক গৃহবধূ।

গত ৫ অক্টোবর চাঁদপুরের হাইমচরের উত্তর আলগী গ্রামের শেখবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরকীয়া করে প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উভয়ের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা উত্তর আলগী গ্রামের মৃত আবুল হক শেখের ছেলে নুরু শেখের সঙ্গে ২০০৫ সালের ৭ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর-রামপুর গ্রামের রুজিনা বেগমের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।

দাম্পত্য জীবনে তাদের রিয়াজুল আহমেদ রাতুল (১০) নামের এক ছেলে ও ফাতেমা আক্তার নূপুর (৫) নামের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। নুরু শেখ জীবিকার প্রয়োজনে ২০১২ সালে কাতার চলে যান।

নুরু শেখ বিদেশ যাওয়ার পর থেকে রুজিনা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কমলাপুর গ্রামের সাজু মিজির ছেলে কাঠমিস্ত্রি সবুজ মিজির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জের ধরেই গত ৫ অক্টোবর বিকেলে সবুজের হাত ধরে রুজিনা পালিয়ে যায়।

রুজিনার প্রবাসী স্বামী নুরু শেখ বলেন, সংসারের অভাব দূর করতে এবং স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা ভেবে ২০১২ সালে বিদেশ চলে যাই। সেখানে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করে মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছি। প্রবাসে থাকাকালে বেশিরভাগ সময়ে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে ব্যস্ত পাই। কার সঙ্গে কথা বলছো জানতে চাইলে সে বলতো তার বাপের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেছে। ৫ তারিখে শুনতে পাই আমার স্ত্রী সবুজের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ১৩ তারিখে আমি দেশে চলে আসি।

নুরু শেখ আরও বলেন, সে আমার নিষ্পাপ দুটি সন্তান রেখে প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছে। যাওয়ার সময় প্রায় ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারগুলো নিয়ে গেছে। এখন দুটি সন্তান নিয়ে আমাকে পথে বসতে হবে। বিষয়টি আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।

রুজিনার বড় ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াজুল আহমেদ রাতুল বলেন, আমার মা সারাদিন কার সঙ্গে জানি কথা বলতো। আমি জিজ্ঞাসা করলে মা আমাকে মারতো।

রাতুল আরও বলেন, ফার্নিচারের দোকানের সবুজ কাকা আমারে দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মার কথা জিজ্ঞাসা করতো। আমারে টাকা দিতো, খাবার কিনে দিতো। ওইদিন বিকেলে মা আমাদের ঘুমিয়ে রেখে চলে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২ নং আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন দুলাল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এটা দুঃখজনক একটি ঘটনা। এ বিষয়ে তাদের আইনের সহায়তা নিতে পরামর্শ দিয়েছি।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
এইউ

Leave a Reply