Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / জমে উঠেছে মতলব উত্তরে ঈদের কেনাকাটা
জমে উঠেছে মতলব উত্তরে ঈদের কেনাকাটা

জমে উঠেছে মতলব উত্তরে ঈদের কেনাকাটা

ঈদ মানেই আনন্দ। আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলো কেনাকাটায় ক্রমেই জমে উঠেছে। ঈদ বেশি আনন্দ দেয় ছোটদের। শিশুদের সব খুশি যেন ঈদের পোশাক ঘিরে। তাই ঈদের কেনাকাটায় তাদের আবদারেরও শেষ নেই।

নিজেদের পোশাক নিয়ে উদাসীন থাকলেও অভিভাবকরা সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি কিনে দিতে চান সন্তানকে। ঈদের অনেক আগেই শিশুদের কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান অভিভাবকরা। তাই ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে শিশুদের ঈদবাজার।

ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শপিংমলগুলো।এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জিপাড়ার কারিগররা।

রাতভর সেলাই মেশিনের শব্দে নির্ঘুম হয়ে থাকছে টেইলার্স পট্টিগুলো। কিছু কিছু টেইলার্স দোকানে সাইন বোর্ড ঝুলেছে ‘ঈদের শেষ আট দিন কোনো অর্ডার নেয়া হবে না’ ছোট থেকে শুরু করে ভিআইপি দোকানের কারিগররা এখন দিন রাত ব্যস্ত।

দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। তবে গতবারের চেয়ে এবার কাপড়ের তৈরি পোশাকের (রেডিমেট) দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদ মানে আনন্দ তাই অবিভাবকদের একটু কষ্ট হলেও সন্তানসহ অন্যান্য প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতেই শত সমস্যা উপেক্ষা করে নতুন জামা কিনে দিচ্ছেন।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাবিক্রি। তরুণ-তরুণীদের কাছে ভারতীয় পোশাক বাহুবলির চাহিদা বেশি। এবার রমজানের শুরু থেকে তেমন বেচা বিক্রি না হলেও ১০-১২ রমজান থেকে মতলবের ছেংগারচর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কেনা কাটা জমে উঠতে দেখা যায়। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড়।

কয়েক দিন ধরে ছেংগারচর পৌরসভার মোজাদ্দেদীয়া ছাইফিয়া প্লাজায় এম এস ফ্যাশন এন্ড গার্মেন্স, মদিনা মার্কেট, সৌদি প্লাজা, ভ্ূঁইয়া মার্কেট, কলেজ রোড, দর্জি মার্কেট, স্কুল রোড সংলগ্ন মর্কেটগুলোসহ বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা সাধারণের উপচেপড়া ভিড়।

এসব ক্রেতা সাধারণের মাধ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নারী ক্রেতাদের সংখ্যাই বেশি লক্ষ্য করা যায়। এবারে ঈদে বিভিন্ন মেগাসিরিয়ালে নায়িকাদের পরিহিত পোশাকের নামের পোশাকগুলোর চাহিদা তরুণীদের মাঝে। এবারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাস্তানি,ক্যাটটপ,সাররা,সানমার ইত্যাদি অন্যান্য নায়িকাদের পরিহিত জামাই বেশি ক্রয় করছে বলে বিভিন্ন দোকানিরা জানান।

পোশাকসামগ্রীর মধ্যে নারীদের কাপড়, থ্রিপিচ, লেহেঙ্গাসহ নারীদের পোশাক বেশি বেচা বিক্রি হচ্ছে। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে নামকরণ যেমন দুলহান, রাজকুমারী, রাখী বন্ধন, মুদি, বাহুবলি, সুলতান ওয়ান,সুলতান টু,সেলফি,রাখিমনি, জুলপি, টু পিস, থ্রিপিসসহ ভরতীয় বিভিন্ন আইটেমের নতুন নতুন নামকরণের বিভিন্ন পোশাকসামগ্রী।

এছাড়া বিভিন্ন বয়সী নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কাতান শাড়ি, বেনারশি পাকিজা, ফেমাশীল, প্রেমজয় কাতানসহ পাকিস্তানি ও চায়না গজ কাপড়।

গতবছর ইন্ডিয়ান যেসব পোশাকের চাহিদা ছিল সেসব পুরনো পোশাকের কথা ভুলে এবারও ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে বিভিন্ন পোশাকের নামকরণ করা হয়েছে। তাই নারী ক্রেতারাও পুরনো সিরিয়ালের কথা ভুলে নতুন সিরিয়ালের নামের পোশাক ক্রয় করছেন।

ছেংগারচর বাজারের মোজাদ্দেদীয়া ছাইফিয়া প্লাজার এমএস ফ্যাশন এন্ড গার্মেন্টেস এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব,এশিয়ান টেইলার্স এন্ড গার্মেন্স স্বত্বাধিকারী মিন্টুসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো।

ইন্ডিয়ান জর্জেট, কাতান ও তাঁতের শাড়ির বিশাল চাহিদা রয়েছে। তরুণীদের ইন্ডিয়ান তৈরি থ্রি পিচের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। যা রোজার শুরু থেকে আমরা আমদানি করেছি। এর বেচাবিক্রিও অনেক ভালো। দামের দিক থেকেও রয়েছে বেশ সুবিধাজনক।

আগের তুলনায় এবার ঈদে বেচা বিক্রিও অনেক ভালো বলে তারা জানান। উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলো সরেজমিনে দেখাযায়, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে চলে বেচা বিক্রি।

ঈদের আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা মার্কেটগুলোতে ভিড় জমিয়ে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। সকাল থেকে শুরু করে এবং তা গভীর রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।আর এ সময়ই মার্কেটগুলো থাকে বেশ জমজমাট।

প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, মতলব উত্তর
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১ :০৫ পিএম,১৯ জুন ২০১৭,সোমবার
এজি

Leave a Reply